খুন হওয়া দিলার মিয়ার স্বজনদের আহাজারি।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ৩ সন্তানের জনক দিলোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক দিনমজুর খুন হয়েছেন। তিনি উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের কামরুপদলং গ্রামের নিম্বর আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিজের বসতবাড়ি না থাকায় দিলোয়ার কামরুপদলং গ্রামের মস্তাই মিয়ার বাংলোবাড়িতে তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন এবং দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাতের কোনো এক সময়ে এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত দিলোয়ারের মাথায় ছুরিকাঘাত করে খুন করে।



শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৭ টায় পান্তা ভাত নিয়ে সাবেক স্ত্রী তারাবানু দিলোয়ারের ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে থানাপুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।


জানা যায়, দিলোয়ার হোসেন ১৫ বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ সদর থানার আফতানগর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের রশিদ আলীর মেয়ে তারাবানুকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঔরসে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয়। তিন সন্তানের জন্মের পর তারাবানু উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মাধব আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে ৫ বছর আগে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান তারাবানু। 

 

তবে ৭ অক্টোবর পুনরায় চলে আসেন সাবেক স্বামী দিলোয়ারের বাড়িতে। তাকে সঙ্গে ২য় বার রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিয়ের কথা ছিলো। এই খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর দুই দিন আগে কামরুপদলং গ্রামে এসে তারাবানুর কাছে তার দেওয়া মোবাইল ফোনের সিম নিতে চান। কিন্তু দিলোয়ার হোসেন সে সিম ভেঙে ফেলেছেন বলে তারাবানু জানান। এ নিয়ে জাহাঙ্গীর বাক-বিতন্ডা করেন তারাবানুর সঙ্গে। 


স্থানীয়দের ধারণা- তারাবানু ফের দিলোয়ারের কাছে চলে আসায় সহ্য করতে না পেরে জাহাঙ্গীর রাগে-ক্ষোভে এই নির্মম খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। 

 

প্রাথমিকভাবে পুলিশও ধারণা করছে- এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তেরাবানুর বর্তমান স্বামী জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততা রয়েছে। 

 

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকবর আলী সিলেটভিউ-কে বলেন- ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কাজ করছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শহীদনূর /  সামিউল / ডি.আর