ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি। ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ফজলে রাব্বি নামের এক নেতাকে শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। যদিও গত ১৮ জুলাই ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন রাব্বি।


তিনি ওই স্ট্যটাসে লিখেছিলেন, আমি বাংলাদেশের সকল নোংরা রাজনৈতিক জীবন থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিলাম। আমি সাধারণ ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকবো এবং সবসময়ই ন্যায়ের পক্ষে থাকবো,অন্যায় কে অন্যায় বলা আমার বাক স্বাধীনতা।



রাব্বি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী গ্রামের শওকত আলী শিকদারের ছেলে।


রাব্বিকে কোন মামলায় আটক করা হয়েছে তা জানেন না শওকত আলী।


তিনি বলেন, আমি ঢাকায় থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ ঠিকভাবে বলেনি কোন মামলা দিয়েছে। শুধু বললো ১০২, ৩৪ সহ কয়েকটা ধারা দিয়েছে।


শওকত আলী বলেন, 'গন্ডগোলের সময় তো রাব্বি বাসায় ছিল।


কোনো আন্দোলনেই যায়নাই। আন্দোলনের পর আগস্টের শেষের দিকে কোচিং খুললে ঢাকায় যায়। আমি জামায়াত করি অনেক আগে থেকেই। ছেলে যে ছাত্রলীগে পদধারী সেটা আমি জানতাম না। আমি না করেছিলাম এসব করলে।
ছেলে বললো, হলে ভাইদের সাথে থাকতে হয়। তাই টুকটাক ছাত্রলীগ করতে হয়।'
 

উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন ফজলে রাব্বী। আন্দোলনে তার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ