সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র জাবির আহমদ (২২) আহমদ নিখোঁজ হননি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাবিরের ভাই জামিল আহমদ সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। আদালত ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে নির্দেশ দিয়েছেন।


বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মামলার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল তারেক ও অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মুকিত অপি।



বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল মুকিত অপি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক আসমা জাহান ঘটনার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।


জানা গেছে, অপহৃত কলেজ শিক্ষার্থী জাবির আহমদ চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় দুবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের মো. আজমান আলীর ছেলে। তার পৈত্রিক বাড়ি উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের মাটিজুরা গ্রামে। ২০০১ সাল থেকে দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে জমি ক্রয় করে বসতি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মো. আজমান আলী।


মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জায়গা-জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে  ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাবির আহমদকে উপজেলার চারখাই বাজার থেকে অপহরণ করা হয়। তার খোঁজ না পেয়ে ১২ অক্টোবর জাবিরের পিতা মো. আজমান আলী বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার নং-৫৫৯।


ভুক্তভোগী জাবিরের ভাই জামিল আহমদ জানান, অপহৃত জাবির আহমদ গত ২৪ অক্টোবর একই কক্ষে থাকা আরেক অপহৃত কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় জাবিরের হাতের বাঁধন খুলে দিলে ভাগ্যক্রমে অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় আশ্রয় নেয় ভিকটিম জাবির। পরে খবর পেয়ে জাবিরের ভাই, আত্মীয়-স্বজন  ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জাবিরকে উদ্ধার করে সিলেটে নিয়ে আসেন। পরে তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী জাবিরের ভাই জামিল আহমদ বলেন,‘ মেওয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন নামের একজনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে আমরা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। কিন্তু এরপর থেকেই ওই জমি নিজের দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার করছে আমাদেরই এক প্রতিবেশী।’
 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু