কানাডায় আশ্রয় পাওয়া কঠিন—এই তথ্য দেশটিতে আশ্রয় পেতে ইচ্ছুকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায় সে দেশের সরকার। সে কারণে সরকারি খরচে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এই বিজ্ঞাপন কর্মসূচি চলবে। খরচ হবে এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৬২ মার্কিন ডলার বা সোয়া দুই কোটি টাকা।
স্প্যানিশ, উর্দু, ইউক্রেনীয়, হিন্দি, তামিলসহ ১১টি ভাষায় বিজ্ঞাপনগুলো প্রচারিত হবে বলে দেশটির অভিবাসন বিভাগ রয়টার্সকে জানিয়েছে।
অনলাইনে ‘কানাডায় কিভাবে আশ্রয় পাওয়া যায়’ বা ‘শরণার্থী কানাডা’, ইত্যাদি লিখলে ‘কানাডার অ্যাসাইলাম সিস্টেম-অ্যাসাইলাম ফ্যাক্টস’ নামে স্পন্সর করা তথ্য দেখানো হবে বলে অভিবাসন বিভাগ বলছে। বিজ্ঞাপনগুলোর একটি এমন—‘কানাডায় আশ্রয় পাওয়া সহজ নয়। নিয়মকানুন বেশ কঠিন।
জীবন পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন, জেনে নিন।’
একটা সময় কানাডা নিজেদের শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কানাডায় বাড়ির দাম বাড়ার জন্য অভিবাসীদের দায়ী করছেন অনেকে।
এ ছাড়া জরিপে দেখা গেছে, কানাডা খুব বেশি নতুন মানুষদের ঢুকতে দিচ্ছে—এমন ভাবা কানাডীয়র সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটে বলেছিলেন, ‘যারা নিপীড়ন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছেন, কানাডীয়রা তাদের স্বাগত জানাবে, আপনার বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন। বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি।
এমন টুইটের প্রায় আট বছর পর ট্রুডো ১৭ নভেম্বর এক ভিডিওতে বলেন, খারাপ মানুষরা তাদের নিজেদের স্বার্থে কানাডার অভিবাসনব্যবস্থাকে শোষণ করছে। এ ছাড়া গত মাসে কানাডার সরকার স্থায়ী ও সাময়িক অভিবাসন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ জেমি চাই ইয়ুন লিউ বলেন, কানাডায় আশ্রয় নিয়ে অনলাইনে অনেক ভুয়া তথ্য আছে। বিজ্ঞাপন কর্মসূচির মাধ্যমে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই কার্যকর হতে পারে। কিন্তু ‘বিজ্ঞাপনে যদি বলা হয়, আপনি স্বাগত নন...তাহলে সেটি কানাডার অতীত মনোভাবের বিপরীত মনে হবে।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডেস্ক/ মিআচৌ