বালু উত্তোলনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সিলেটের ৯টি মহাল বা পয়েন্ট ইজারা দেওয়ার দিন ছিলো বুধবার (৪ ডিসেম্বর)। বুধবার বিকালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজন করা হয়েছিলো ইজারা ডাক অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেখানে ঘটেছে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ‘বেশি দামে একজনের ইজারা নিতে চাওয়া’র অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। এ অবস্থার পর বালু ইজারার প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর থেকে ইজারায় অংশ নিতে কয়েক শতাধিক মানুষ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমান। দুপুর আড়াইটার পর থেকে ইজারায় অংশ নিতে ইচ্ছুকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বসেন এর দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে ইজারাদারদের মাঝে এক পর্যায়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। এসময় উপস্থিত লোকজন ও প্রসাশনের হস্তক্ষেপে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলেও কিছুক্ষণ পর আবারও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ইজারার প্রক্রিয়া স্থগিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

 

ইজারায় অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, বালু নিলামের সময় নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে তার শার্টের কলার চেপে ধরেন অন্য একজন। নাজিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো- তিনি সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে বেশি দরে নিলাম ডেকেছেন।

 

এ ঘটনার পরই বালু সিন্ডিকেটের হোতারা তুমুল হট্টগোল শুরু করলে নিলাম প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ঢবলেন, আমি প্রথম একটি নিলামে সর্বোচ্চ দর দেওয়ায় ডাক পাই।পরেরটাতে উশৃঙ্খল মানুষজনের কারণে নিলাম প্রক্রিয়া ভন্ডুল হয়ে যায়।

 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক দীপক রঞ্জন দাস বলেন, সিলেটের ৯টি পয়েন্টের ড্রেজিং বালু উত্তোলনের ইজারার প্রক্রিয়া ছিল বুধবার। আমরা যথারীতি দুপুরের পর থেকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বসেছিলাম। প্রায় সাড়ে ৩০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই ইজারায় অংশ নেন। এক পর্যায়ে দর কষাকষি নিয়ে সম্মেলন কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা সাময়িকভাবে এই ইজারার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছি। পরবর্তী সময়ে রেজুলেশন করে আমরা করণীয় ঠিক করব।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর