ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সিলেটের সুতারকান্দি সীমান্তে ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টার পর শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তারা। একই কারনে সিলেটের তিন স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে সোমবার থেকে। স্থলবন্দরগুলো বন্ধ থাকায় দৈনিক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে বাংলাদেরশ। ব্যবসায়ীরা জানান, তিন স্থলবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি সীমান্তে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ সময় তার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে বিএসএফের বাধায় তার পিছু হটেন।



এই ঘটনার পর থেকেই সিলেটের জকিগঞ্জ ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া লোড আনলোড জটিলতায় বন্ধ রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর।


স্থলবন্দরের ব্যবসায়িরা জানান, ইসকন ইস্যূতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সবধরণের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাঁধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।


এতে করে সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামালবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে ফলসহ কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


সিলেট কয়লা আমদানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পাথর আমদানি গ্রুপের সভাপতি মো. আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যুতে ভারতীয়রা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। র সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার রয়েছেন। শেওলা স্থলবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জ ও তামাবিল স্থলবন্দরে প্রতিদিন আরও প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ভারতের সাথে কথা হচ্ছে, আশা করা যাচ্ছে আগামী ১২ তারিখ আবারো পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত /এসডি-৯১০১