শনিবার রাত আটটার দিকে মহানগরের জিন্দাবাজার এলাকা থেকে ছবিটি তুলেছেন শহিদুল ইসলাম সবুজ।

সিলেটে টানা কয়েক দিন ধরে যানজটে নাকাল মহানগরবাসী। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) একাধিক স্থানে যান চলাচল স্থবির হয়ে থাকতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে মহানগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যা রাত আটটা পর্যন্ত ছিলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

 


ভুক্তভোগীরা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে মানুষজন প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করতে তৎপর থাকেন। দ্রুত ফিরতে চান বাসা-বাড়িতে। এসময়টাতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় যানবাহনের চাপও বেড়ে যায়। এতে তৈরী হয় লম্বা যানজট। দুর্ভোগের পড়েন মানুষ।

 

মহানগরীর আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা ও সমাজকর্মী নাজিব আহমদ অপু সিলেটভিউকে বলেন, যানজট সিলেটবাসীর জন্য বড় একটি সমস্যা। আমাদের এই শহরে ফুটপাতের চেয়ে হকার বেশী। ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশা অবাধে চলা। একমুখী সড়কে উভয় দিক থেকে যানবাহন চলাচল। এইসব ক্ষেত্রে তদারকি প্রয়োজন। এছাড়া সড়কে ও পয়েন্টে অবৈধ স্ট্যান্ড, প্যাকিং ও যানজট সমস্যা নিরসনে দক্ষ ট্রাফিক পুলিশেরও অভাব রয়েছে।

 

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রায়ই ফুটপাত হকারদের দখল থেকে মুক্ত করতে ও অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড উচ্ছেদে তৎপরতা চালায়। কিন্তু এতে খুব একটা সফলতা মিলেনা। সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে- তারা সড়ক অবৈধ দোকান ও ফুটপাত থেকে হকার সড়াতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন।

 

বেসরকারী চাকরীজিবী ও মহানগরীর শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাওছার আহমদ বলেন, কয়েক বছর আগেও সিলেটে এমন যানজট ছিল না। হঠাৎ করে গত কয়েক বছরে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মদিনা মার্কেট থেকে শিবগঞ্জ যেতে ১ ঘন্টা লেগে যায়। কিন্তু এখানে যেতে স্বাভাবিক সময়ে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট লাগতো।

 

তিনি আরও বলেন, সিলেটের সড়কগুলো অনেক প্রশস্ত করা হয়েছে কিন্তু তাতে যানজট না কমে আরও বেড়েছে। এখনই যানজট নিরসনে পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে সিলেটও ঢাকার মতো স্থবির হয়ে পড়বে।

 

সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, শহরের যানজট ও সড়কে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বাড়তি সদস্য যোগ করা হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি