নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভার মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি থাকার ঘটনায় পলকের চাচা শ্বশুর সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে শোকজ করেছে বিএনপি।


আজ শনিবার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে শোকজ করা হয়। ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি।



শোকজ নোটিশে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ৬ ডিসেম্বর তারিখে সিংড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভার মঞ্চে ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ আইসিটি মন্ত্রী পলকের শ্যালিকা ডা.ফারজানা রহমানের উপস্থিত হওয়া এবং আসন গ্রহণের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে বিবেচিত হয়। আপনাদের এহেন কর্মকাণ্ডে বিএনপি'র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে বা লিখিত ভাবে জানানোর জন্য নিদের্শ দেয়া হলো।


এ বিষয়ে গতকাল সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, তাকে (ভাতিজি ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে) আমি মঞ্চে উঠাইনি। অনেক মানুষ জনসভায় এসেছে, সে কিভাবে উঠেছে জানি না। আর সে যে যুব মহিলা লীগের কোন পদে রয়েছে এ বিষয়টিও আমি জানি না।


শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, গতকালকের বিষয়টি নিয়ে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার(৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে দেখা যায়। এ নিয়ে তোলপাড় চলছিল সিংড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে।


জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি তার দুলাভাই সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের প্রভাব খাটিয়ে চলতেন। বিগত সময় সিংড়ায় ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি পরিচালিত একটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করার অভিযোগ উঠলে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রচার করতে গেলে পলকের প্রভাবে সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার ও হুমকিও দেন দৃষ্টি। পলকের শ্যালিকা হওয়ার সুবাদে ২০২০ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ডা. ফারজানা। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডেস্ক/ মিআচৌ