২০১৬ সালে আইন করে অনুমোদন দেওয়ার পর কানাডায় স্বেচ্ছামৃত্যু বাড়ছেই। গবেষণা বলছে, ২০২৩ সালে স্বেচ্ছামৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ, যদিও আগের বছর বড়েছিল ৩১ শতাংশ। গতকাল বুধবার প্রকাশিত বার্ষিক এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, যারা অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় দিন গুনছেন, বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই, তাদের জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতা দেওয়া হয়েছিল কানাডায়। অবশ্য স্বেচ্ছামৃত্যু যে কেউ বেছে নিতে পারেন না। কেননা এর নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী ও শর্ত রয়েছে। সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
মেডিকেলের ভাষায় একে বলা হয় ইউথেনেশিয়া। এবারের তালিকায় প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছামৃত্যু নেওয়া ব্যক্তিদের জাতিগত পরিচয়ও ডেটায় যুক্ত করেছে কানাডা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ইউথেনেশিয়া বেছে নিয়েছেন ১৫ হাজার ৩০০ মানুষ। দেশটিতে মোট যে মৃত্যু হয়েছে, এটি তার ৪.৭ শতাংশ। এদের গড় বয়স ৭৭। আর মারা যাওয়াদের বেশির ভাগই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
২০২৭ সালের মধ্যে মানসিক রোগীদের জন্য এই মৃত্যুর অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছে কানাডা। গত দশকে বিশ্বের যে গুটিকয়েক দেশ স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দেয়, এর মধ্যে কানাডা একটি। এ তালিকায় আরও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও অস্ট্রিয়া।
কানাডার কুইবেক প্রদেশে ইচ্ছামৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, যা দেশের মোট ইচ্ছামৃত্যুর ৩৭ শতাংশ। এর কারণ নির্ধারণে কুইবেক সরকার একটি গবেষণা শুরু করেছে। এ ছাড়া স্বেচ্ছামৃত্যু হওয়া ৯৬ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ