জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে যমুনায় পৌঁছেছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার আগে তারা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় পৌঁছান।
জানা যায়, কী কী বিষয় থাকবে ঘোষণাপত্রে, আর কবে ঘোষণাপত্রটি দেওয়া হবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে এই বৈঠক থেকে।
গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। মূলত বিএনপির বিরোধিতার কারণেই ঘোষণাপত্র দেওয়ার ওই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় বৈষম্যবিরোধীরা।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারির করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে।
তবে দুইদিন আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ঘোষণাপত্রে মতামত জানাতে সময় চান।
দলটির সূত্রে জানা গেছে, আজ বৈঠকে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য সময়ের অপর্যাপ্ততার কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দেখা করবেন। তবে বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো মতামত দেবেন না।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৪