সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দ্বিতীয় মেয়াদে পৃথক সময়ে সিলেট নগরে দুর্ঘটনা এড়াতে ও জনসাধারণের রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে ৪টি স্থানে প্রায় ১০ কোট খরচ করে নির্মাণ স্থাপন করা হয়েছিলো ফুটওভার ব্রিজ। কিন্তু বছরের পর বছর পেরোলেও এসব ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি হয়নি নগরবাসী বা পথচারীর। এগুলোতে পা না ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম রাস্তা পর হন তারা কেউ। এছাড়া ব্রিজগুলো এখন বখাটেদের আড্ডা ও মাদকসেবনের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে এই কোটি কোটি টাকা যেন উড়ে গেছে হাওয়ায়।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, ৯ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৯ টাকা ব্যয়ে চারটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে, ২০২১ সালে ২ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৮ টাকা ব্যয়ে টিলাগড়ে, ২০২২ সালে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে কদমতলীর হুমায়ূন রশীদ চত্বরের পাশে ও একই বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ফুট ওভার ব্রিজ।
প্রতিদিনই দেখা যায়- পদচারী সেতুর ওপর ছিন্নমূল কিছু শিশু বসে আছে, তবে পথচারীদের কেউ এ সেতু ব্যবহার করছেন না। রাত হলেই বখাটেদের আড্ডাখানা ও মাদকসেবনের স্থানে পরিণত হয় এসব ব্রিজ।
এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ও সিসিকের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন-, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলতে হবে। প্রয়োজন না থালে তুলে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত / ডি.আর-৫