আল হামরা শপিং সিটিতে স্বর্ণের দোকান চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখা। 

 


আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকার রংমহল টাওয়ারস্থ সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে েই আল্টিমেটাম দেন নেতৃবৃন্দ।

 

গত ৯ জানুয়ারি আল হামরার চতুর্থ তলার নুরানি জুয়েলার্স নামক দোকানের (নং-৪৩১, ৪৩৩ ও ৪৩৫) পেছনের দরজার তালা ভেঙে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় ৭-৮ জনের চোর চক্র। যাওয়ার সময় নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যায় তারা। 

 

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

 

সংবাদ সম্মেলনে বাজুস সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেন, মামলা দায়েরের পর দফায় দফায় আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমাদেরকে শুধু বলা হচ্ছে, তাদের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। চোরদের তারা শনাক্ত করে ফেলেছেন, শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যত অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে চোর চক্রকে ধরতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

 

নেতৃবৃন্দ জানান, আমাদের সঙ্গে আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সিলেট চেম্বার ও সিলেটের সকল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ একাত্মতা পোষণ করেছেন। 

 

এদিকে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সিলেটভিউকে বলেন, চোরদের শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু তারা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য নীহার কুমার রায় ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান সওদাগর।

 

উপস্থিত ছিলেন- বাজুস সিলেট জেলা শাখার সহসভাপতি আব্দুল কাদির মল্লিক, সহসম্পাদক ইয়াছিন আহমদ ও লক্ষণ ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ রতন দে প্রমুখ। 
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম-১ / সানি-৮