সুনামগঞ্জের হাওরে গুনগত মান বজায় রেখে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ফসলরক্ষা বাঁধ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। অন্যথায় আগাম বন্যায় কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাফিলতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার দুপুরে হাওরে বাঁধ নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিসময় সভায় এই মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
ডিসির সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি এই সভার করে। এই কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক।
সভায় হাওরের বাঁধ নির্মাণের অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কর্তৃপক্ষের নেওয়া উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় বাঁধ নির্মাণের ধীরগতির বিষয়টিও কমিটির নজরে নিয়ে আসা হয়।
জবাবে ডিসি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যারা কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হবেন তাদের জবাবদিহীর আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হবে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পাউবোর উপসহকারি প্রকৌশলীরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জামিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৯ লাখ ১৯ হাজার লাখ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর এই ফসল রক্ষার্থে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন হাওরে ৬৫৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/শহীদনুর/এসডি-২৫