ভারতের কর্নাটকে এক বাংলাদেশী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি টিএসসি হয়ে প্রশাসনিক ভবনের পাশে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা',‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান', ‘আমার বোনের মরল কেন, মুদি সরকার জবাব দে ' আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সিকৃবির শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে ভারত যখন বুঝতে পেরেছে যে আমরা তাদের প্রভুত্ব মানছি না তখন তারা নানানভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একসময় সীমান্তে তারা নিয়মিত বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যায় লিপ্ত ছিল। যখন আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি তখনই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যারা বিদেশি নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে জানেনা তারা আমাদের মানবতার বুলি শেখাতে আসে। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
সমাবেশে সিকৃবির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী গোলাম মর্তুজা সেলিম বলেন, ভারতে আমাদের বাংলাদেশী এক বোনকে বৈধ পাসপোর্ট থাকার সত্ত্বেও ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত সরকার কখনো বাংলাদেশীদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক মনে করেনি। তারা যদি আমাদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক মনে করতো তাহলে বৈধ পাসপোর্ট থাকার সত্ত্বেও আমার বোন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতো না। আমরা স্পষ্ট করে ভারত সরকারকে বলে দিতে চাই তারা যদি এ হত্যাকান্ডের বিচার না করে তাহলে তাদের দোসরদের আমরা যেভাবে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি তেমনি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বাংলাদেশের সীমান্ত ভেদ করে তাদের গদির দিকে অগ্রসর হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের বর্ডার বাহিনী কর্তৃক অসংখ্য বাংলাদেশী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে যারা বিচার এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। বিপ্লব পরবর্তীতে আমরা ভারত সরকারকে দেখেছি জুলাই বিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অভিহিত করার চেষ্টা করেছে। যার ফলশ্রুতিতে তারা দুই হাজারের অধিক জনগনের হত্যাকারী ও লক্ষাধিক জনগণের আহতকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকারকে উৎখাত করতে এমন কোন হীন চক্রান্ত নেই যা ভারত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে না। বাংলাদেশকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে বলতে চাই জন্মভূমি অথবা মৃত্যু।
প্রসঙ্গত, গেল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভারতের কর্নাটকে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। কর্নাটকের কালকেরে লেক সংলগ্ন স্থানে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। জানা গেছে, তার স্বামী একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তিন সন্তান নিয়ে উত্তর বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তারা।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ প্রেবি /মিআচৌ