বিলেতের মতো বাংলা খাবারের সুনাম এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। একদিন হয়ত দেখা যাবে চায়নিজ রেস্টুরেন্টগুলোর মতো বাঙালি রেস্টুরেন্টগুলোও সারা দুনিয়া শাসন করে বেড়াচ্ছে।কিন্তু বর্তমানে ব্রিটেনে স্টাফ সংকট সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাঙালী কারি ইন্ড্রাস্টি। ব্রিটিশ বাংলাদেশী ইয়ং স্টাররা এই সেক্টরে আসছে না।ব্রিটেনে বাঙালিদের কারি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রজন্মের সাফল্যের শহিদ ইসলাম।

ব্রিটেনে দীর্ঘদিন ধরে বাঙালিদের কারি ইন্ডাস্ট্রি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্টাফ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই খাত। বিশেষ করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নতুন প্রজন্ম এই সেক্টরে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু নর্থাম্পটনে এর ব্যতিক্রম তৈরি করেছেন ২৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ শহিদ ইসলাম। তিনি বাবার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা, আরামিনতাজ  রেস্টুরেন্টের মূল দায়িত্ব নিয়েছেন এবং রেস্টুরেন্ট পরিচালনায় নতুন ধারা যোগ করছেন।


চাকরি ছেড়ে পারিবারিক ভাবে বাবার ব্যবসায় ফিরে আসেন। শহিদ বলেন, “বাবার ব্যবসা আমার শৈশব থেকেই খুব কাছ থেকে দেখেছি। এটি শুধু ব্যবসা নয়, এটি আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এবং স্বপ্নের একটি অংশ।”

এই তরুণের সাফল্যের গল্প প্রমাণ করে, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে বাঙালি কারি ইন্ডাস্ট্রির সংকট কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করা সম্ভব। শহিদ ইসলাম এর  মতো উদ্যমী তরুণরা প্রমাণ করছেন, ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সঙ্গে মেলালে সাফল্য অনিবার্য।কারি  ইন্ড্রাস্টিতে ইয়ং স্টাররা আসার জন্য ক্যাম্পেইন করছে বিসিএ।কিন্তু নর্থাম্পটনে তার ব্যতিক্রম। বেশ কয়েক টি রেস্টুরেন্টে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ইয়ং স্টাররা বাবার ব্যবসায় মুল দায়িত্ব পালন করছেন।তাদের অন্যতম হচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী শহিদ ইসলাম।

ব্রিটেনে রেস্টুরেন্টগুলোতে স্টাফ সংকট ও বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট গুলো একের পর এক বন্ধ হচ্ছে।ঠিক সেই সময়ে ব্রাকলেস ব্যাংকে ভালো চাকরী ছেড়ে দিয়ে বাবার ব্যবসায় হাল ধরেছে ২৪ বছর বয়সী শহিদ ইসলাম। নিজের মেধা ও অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন তিনি।বিজনেসে সফল হতে হলে হার্ড ওয়ার্ক, অভিজ্ঞতা ও ধৈর্য অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ বলে জানান শহিদ ইসলাম।

বাবার হাত ধরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে পড়ালেখা পাশাপাশি বাবার টেকওয়েতে কাজ শুরু করে শহিদ।সেখান থেকে কাজ শিখে ২০২২ সালে আরামিনতাজ রেস্টুরেন্ট চালু করে সে।

শহিদ ইসলাম ব্যবসা-সফল রেস্টুরেন্টের মালিক। তার ব্যবসা-সফল রেস্টুরেন্টটির নাম আরামিনতাজ যা  লন্ডন থেকে ৭০ মাইল দূরে  নর্থাম্পটনে অবস্থিত। প্রায়১০০ আসন সংবলিত রেস্টুরেন্টটি প্রায় সময়ই এত ব্যস্ত থাকে যে, ‘ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই’ অবস্থা।
অনেকেই মনে করেন, গুড ফুড গুড সার্ভিস আর প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই আরামিনতাজ রেস্টুরেন্টটি বিলেতের বিশেষ একটি আলোচিত রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে পেরেছে।

বাংলাদেশ ক্যাটারস এসোসিয়েশনের চীপ ট্রেজারার টিপু রহমান বলেছেন তারা ক্যাম্পেইন করছেন ইয়ং স্টাররা রেস্টুরেন্ট সেক্টরে আসার জন্য। তার প্রমান এই শহিদ ইসলাম। সে রেস্টুরেন্টে ভালো করছে। শহিদ ইসলামের বাবা বিশিষ্ট রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সিরাজ ইসলাম রুফা মিয়া। শহিদ ইসলাম ভবিষ্যতে বড় বিজনেস ম্যান হতে চায়।

শাহিদ হতে পারে পরবর্তী ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অনুপ্রেরণা। হুমকির মুখে থাকা বাঙালি কারি ইন্ডাস্ট্রির শহিদের মতো উদ‍্যমিরাই পারে টিকিয়ে রাখতে। শহিদ ইসলাম এর বাংলাদেশের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার বড় দিরাইয়ে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/শামীম/এসডি-০১