বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের ছাতকে দ্বিতীয়বারের মতো হয়ে গেল হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৫। 

 


“বন্যার ঝুঁকি জানুন” এই প্রতিপাদ্যে রানার্স অব ছাতকের উদ্যোগে এই আয়োজনে অংশ নেন সারাদেশের কয়েক শতাধিক প্রতিযোগি। 

 

আজ শুক্রবার শিশির ভেজা ভোরে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুকারভাঙ্গায় সড়ক শুরু হয়ে,আনুজানু, শেরপুর, লক্ষ্মীপাশায় ইউটার্ন নিয়ে পালপুর স্কুল এন্ড কলেজে এসে সম্পন্ন  হয় রানার্স অব ছাতক হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার। ২১ কিলোমিটার সাধারণ ও ১০ কিলোমিটার অসাধারণ ক্যাটাগরিতে দৌঁড়ের ইভেন্টে নারী পুরুষ,কিশোর, তরুণ ও বয়স্ক সবাই অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ দৌঁড়বিদ অংশ নিয়েছেন এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতায়।

 

ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু হয়ে দৌঁড়ের সময় বেঁধে দেয়া ছিল ৩ ঘন্টা। বেশিরভাগ দৌঁড়বিদ সেসময়ের আগেই সফলভাবেই শেষ করেন হাফম্যারথন। হাওরবেষ্টিত গ্রামীণ জনপদের সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে দৌঁড়াতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হয়ি প্রতিযোগিদের। শারীরিক সুস্থ্যতা ও মানসিক প্রশান্তি লাভে ম্যারাথনের বিকল্প নেই বলে জানান প্রতিযোগিরা। 

 

সিলেট থেকে আসা ৬৫ বছরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিহাররঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, শরীর ও মন ভালো রাখতে হলে রানের কোনো বিকল্প নেই৷ আমি সুস্থ্য থাকার জন্য দৌঁড়াই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে অংশ নিয়ে প্রশান্তি পাই। ভালো লাগে সকল বয়সের লোকেরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।

 

এই ম্যারথানকে ঘিরে আগত তরুণতরুণীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশের। ১০ বছরের কিশোর থেকে ৭৫ বছরের বযস্ক নাগরিকদের স্বতর্স্ফুত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন ঘোছালো আয়োজনে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রতিযোগিতার।


দীপ্ত চৌধুরী নামের এক দৌঁড়বিদ বলেন, আয়োজন অসাধারণ ছিলো। বিশেষ করে রানের সড়ক ও আবহাওয়া উপযোগী ছিলো৷ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অত্যান্ত খুশি হয়েছি। আশা করি এমন আয়েজন ভবিষ্যতে আরও হবে।


বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় গ্রামীণ পর্যায়ে সচেতনতার বার্তা দিতে এই ম্যারাথনের আয়োজন বলে জানিয়েছেন রানার্স অব ছাতকের অর্গানাইজার মো. মুক্তার হোসেন।

 

তিনি বলেন, ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ অঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায়৷ আমরা আগাম কোনো সতর্কবার্তা জানতে পারিনি। এর ফলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল জেলাবাসী। এই ম্যারাথনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্যার ঝুঁকির বিষয়ে মানুষকে জানান দেয়া। এবং সতর্কবার্তা জানতে উদ্ধুদ্ধ করা। আগামীতে এমন আয়োজন করতে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

 

হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১০ কিলোমিটার দৌঁড়ে সুনামগঞ্জের দীপ্ত চৌধুরী  ও ২১ কিলোমিটার দৌঁড়ে সিলেটের জকিগঞ্জের গোলাম রাহাত তোফায়েল চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন।পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজকবৃন্দ।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ শাহিদ / সানি-১