সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ভেড়াডহর হাওর উপ-প্রকল্পের ১১ নং হাওর রক্ষা বাঁধের (পিআইসি) সভাপতি বাদল চন্দ্র দাশকে মাটি কাটতে বাধা প্রদান করার অভিযোগ। কাজ করতে হলে নগদ ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সহদেব পাশা গ্রামের হুমায়ুন আহমেদ ও ডুমরা গ্রামের অরুপ তালুকদারের বিরুদ্ধে।
 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাঁধের পাশে মাটি কাটা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ১১ নং হাওর রক্ষা বাঁধের (পিআইসি) সভাপতি বাদল চন্দ্র দাশ শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
 


লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, “আমি বাদল চন্দ্র দাশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১১নং পিআইসির সভাপতি। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিবাদীদ্বয় মদ্যপান করে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ডুমরা গ্রাম সংলগ্ন ১১নং পিআইসির বাঁধে গিয়ে আমাকে বলে তাদেরকে নগদ ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে নতুবা তারা আমাকে পিআইসিতে মাটির ভরাট করতে দিবে না। আমি তাদেরকে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীদ্বয় হাতে কিরিচ দেখিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদ্বয়ের হুমকি ধামকি শুনিয়া উল্লেখিত স্বাক্ষীদ্বয় সহ আশেপাশের অনেক লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে বিবাদীদ্বয় স্বাক্ষীগণের সম্মুখে প্রকাশ্যে আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়। বিবাদীদ্বয় চলে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি গ্রামের গন্যমাণ্য লোকজনকে অবগত করি এবং আমার জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।”
 

এবিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/সন্দীপন/এসডি-২৬