বিপিএলের চলমান আসরের খেলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। চতুর্থ দল হিসেবে আজ শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স। এদিকে চলমান আসরের খেলা যখন শেষ পর্যায়ে তখন শোরগোল পড়েছে ফিক্সিং ইস্যু। ফিক্সিং নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় আজ সকালে। জানা যায়, ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থাকায় এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, তবে এখনো প্রমাণিত হয়নি। এ নিয়ে কাজ করছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। ফিক্সিংয়ের সন্দেহের তালিকায় আছেন যে সব ক্রিকেটার তাদের মধ্যে একজন দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। যার কারণে তার দেশত্যাগে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও।


জানা যায়,  বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হককে যেন দেশ ছাড়তে না দেওয়া হয়। এ ব‍্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব‍্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব‍্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে।’

এদিকে ফিক্সিং ইস্যুতে যখন নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা দেশের ক্রিকেটাঙ্গণে তখন নতুন তথ্য ওঠে এসেছে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। সেখানে জানানো হয়েছে, বিজয়ের দেশ্ত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকেই এমন তথ্য নিশ্চিত করা হিয়েছে জানা গেছে প্রতিবেদন থেকে। সেই সঙ্গে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন ‘আমি বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে কথা বলেছি। আমার জানামতে, এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’

এদিকে ফিক্সিং নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা তখন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজয়ও। দুর্বার রাজশাহীকে প্রথম ৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। এ সময় ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, এ সব সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বিজয় স্পষ্টত বলেন, “(অভিযোগগুলো) মিথ্যা তো মিথ্যাই, এগুলো হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি। এত বছর আল্লাহ দিলে (হৃদয়ে ধারণ করে) ক্রিকেট খেলছি, বিপিএল সম্মানের সাথে খেলছি, সাথে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখনও তো অনেক সময় পড়ে আছে। বাংলাদেশ দলকে বারবার প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। তা না হলে পরিশ্রমের দরকার কী? এনসিএল, বিপিএল, প্রিমিয়ার লীগ জান দিয়ে খেলে খেলে যদি এই ধরণের কথা শুনতে হয় কষ্ট তো লাগবেই।”

এদিকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবরও বিজয় দেখেছেন গণমাধ্যমে, “কেউ আমাকে কিছু জানালো না যে, দেশত্যাগ করতে পারবো না বা আমি এটার মধ্যে জড়িত। আমি আসলে দেখছি আর অবাক হচ্ছি যে, এগুলো কেনো হচ্ছে আসলে। খুবই কষ্ট পাচ্ছি।”

তবে তাঁকে নিয়ে এসব অভিযোগের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন বিজয়। তিনি বলেন, “শুক্র-শনি তো বন্ধ ছিলো, আমি যে কোনো লিগ্যাল অ্যাকশন নিবো সেটার তো সুযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে নিউজগুলো শুরু হয়। এখন তো রবিবার অর্থাৎ কাল পর্যন্ত ওয়েট করা লাগতেছে। আর আমি যাচ্ছি, আইনজীবির সঙ্গে কথা হবে। একটা বড় স্টেপ তো আমি নিবোই। কারণ যেভাবে নেগেটিভ নিউজ হয়েছে, একে পজিটিভ করা অনেক ডিফিকাল্ট। কারণ, মানুষ নেগেটিভটাই পছন্দ করে শুনতে। সেক্ষেত্রে আমার থেকে ক্লিয়ার করা জরুরী। যে ব্যাপারটা কেমন আমি কত কষ্ট পাচ্ছি বা কি হচ্ছে।”


 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১২