সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা রিনা বেগম স্বামীর খামারের কর্মচারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন ও স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামের মরহুম মকবুল আলী কালা মিয়ার ছেলে শরফ ফকির পিয়াসার।
 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে প্রাক্তন স্ত্রী রিনার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। এর আগে রিনা বেগম সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে শরফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
 


শরফ তার বক্তব্য বলেন, বর্তমানে তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার পূর্ব নিজপাট ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষিপাশা গ্রামের বাসিন্দা। গোলাপগঞ্জ থেকে ২০১৪ সালে যখন তিনি জৈন্তাপুরে এসে বাড়ি তৈরি করেন তখন রিনা বেগমের সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। শরফ জৈন্তাপুরের বাড়িতে মাছ ও মোরগের খামার করেন এবং রুবেল নামে এক যুবককে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু তিনি ব্যবসায়ীক কাজে বিভিন্ন স্থানে থাকার সুবাধে রিনা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যান রুবেলের সঙ্গে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে একদিন শরফকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে রুবেলের হাত ধরে পালিয়ে যান রিনা।
 

শরফ সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করে বলেন, তার সঙ্গে বিয়ের আগে রিনার আরও ৭টি বিয়ে হয়েছে। তিনি পরে সেগুলো জানতে পেরেছেন। এছাড়া রিনাকে ভালোবেসে তিনি তার নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ১০ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিনা। এসব বিষয়ে তিনি আদালতে রিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
 

শরফ ফকির পিয়াসা বলেন, আগে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে রিনার উত্থাপিত সব অভিযোগ মিথ্যা। বরং জৈন্তাপুরের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যোগসাজশ করে রিনা গত কয়েক বছর শরফকে নানাভাবে নির্যাতন-হয়রানি করেছেন। এছাড়া জৈন্তাপুরের বাড়িতেও শরফকে রিনা ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে তার অভিযোগ।

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১১