বিয়ে প্রায় শেষ। কেবল মালাবদল বাকি। এমন সময় খাবার কম পড়ার অভিযোগে বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে চাইল বরের পরিবার। কিন্তু বিয়ে করতে চান বর। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকে ফোন দিলেন কনে। পুলিশ এসে নিয়ে গেল থানায়। সেখানেই হলো মালাবদল।

 


 

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত রোববার সুরাটের ভারাছা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

 


বিহারের বাসিন্দা রাহুল প্রমোদ মাহতো ও অঞ্জলি কুমারীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল সুরাটের লক্ষ্মী হলে। বরের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও অতিথিদের খাবার কম পড়ার অভিযোগ এনে বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতে চায় বরের পরিবার। বরের পরিবারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কনে ও তাঁর পরিবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

 


সুরাটের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) অলোক কুমার বলেন, বিয়ের সব রীতি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। শুধু মালাবদল বাকি ছিল। সে সময় খাবার কম পড়ার অভিযোগ আনে বরের পরিবার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। বরের পরিবার বিয়ে না করিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় কনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

 

 

অলোক কুমার বলেন, ওই নারী জানান, বর বিয়েতে রাজি হলেও তার পরিবার সম্মতি দিচ্ছে না। এরপর পুলিশ বরের পরিবারকে থানায় নিয়ে কনের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।

 

 

ডিসিপি অলোক কুমার বলেন, ‘পুলিশের মীমাংসা মেনে বরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয়। তবে কনে আশঙ্কা করেন, বিয়ের হলে ফিরে গেলে আবারও কোনো ঝগড়া হতে পারে। তাই আমরা তাদের অনুমতি দিই থানাতেই বাকি রীতি (মালাবদল) সম্পন্ন করে বিয়ে সম্পন্ন করতে।’

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে হস্তক্ষেপ করেছি। তাদের বিয়ে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছি।’

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত