টয়লেটের ভগ্নদশা সেপটি ট্যাংক ফেটে চারপাশে গড়িয়ে যাচ্ছে মলমূত্র। সেইসাথে  গৃহপালিত পশুপাখি ও মশা-মাছির মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে পড়ছে হোটেল রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে। খাদ্য সামগ্রীর ওপর মশা-মাছি বসে রোগজীবানু ছড়াচ্ছে। এছাড়া টয়লেটের পাশেই টিউবওয়েল। নাকমুখে রুমাল চেপে নোংরা পরিবেশে টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
 

এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চকবাজারে। ওই টয়লেটই এখন দুর্ভোগের কারণ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, বাসিন্দা ও পথচারিদের। প্রায় ৩ শতাধিক দোকানপাট ও বাসাবাড়ি অধ্যুষিত ওই বাজারটির উন্নয়ন হলেও স্যানিটেশন ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি।


স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের টয়লেটটি ২০ বছরের পুরনো। সংস্কারের অভাবে এটি এখন বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবেশ দূষণের মূল কারণ। বিগত সরকারের আমলে একটি ওয়াশব্লক স্থাপনে স্থান নির্ধারণ করলেও হঠাৎ প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।
 

বাজারের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাজারের টয়লেটের কয়েক গজ দূরেই  আমার বসতঘর। মলমূত্রের দুর্গন্ধে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিষহ জীবনযাপন করছি। বাজার কমিটিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব অবগত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি তারা।’

ব্যবসায়ি রুবেল বলেন, ‘দুর্গন্ধে নাকমুখ চেপেও দোকানপাটে বসা অসহনীয়। নতুন ওয়াশ ব্লক নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’

চকবাজার শাহী জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘পায়খানার দুর্গন্ধে বাজারে চলাচল খুবই অসহনীয়। দ্রুত একটি ওয়াশব্লক স্থাপন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘চকবাজার ও বাংলাবাজারে দুটি ওয়াশব্লক বরাদ্দ হলেও বর্তমানে সেটি বাতিল হয়েছে। নতুন বরাদ্দ আসলে সেখানে ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হবে।’

উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারি প্রকৌশলী বিপ্রেশ তালুকদার জানান, ‘চকবাজারে একটি ইমপ্রোভ টয়লেট (ছোট ওয়াশব্লক)সহ পরবর্তীতে ওই প্রজেক্টের সকল ওয়াশব্লক স্থাপন বাতিল হয়ে গেছে।’

 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/এসডি-০৭