সুনামগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর সমাপনী, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগের কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী।
 

পরে তিনি তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে অতিথিদের সাথে নিয়ে পুরষ্কার বিতরণ করেন বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী।


অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সুনজিত কুমার চন্দ’র সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এর সহধর্মিণী পারভীন সুলতানা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী নূরে সাবা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরোদা রানী রায়, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন।
 

সিলেট বিভাগের কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েই আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা দীর্ঘদিন যুগ বিচ্যুত ছিলাম, সেটিকে বদলে নতুন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা, নতুন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যেখানে তরুণরা থাকবে অগ্রগণ্য, অধিকার হবে সবার। সেখানে তরুণরা একটা বাসযোগ্য দেশ একটি বাসযোগ্য সমাজ, বাসযোগ্য একটি রাষ্ট্র পাবে। আমরা এভাবেই একটি বৈষম্যহীন, অধিকার সম্পন্ন মানবিক একটি সমাজ রাষ্ট্র এবং পৃথিবী গড়তে চাই। এজন্যই তারুণ্যের উৎসবের স্লোগানে যুক্ত করা হয়েছে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই।
 

তিনি বলেন, তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করার উদ্দেশ্য হলো তরুণ সমাবেশকে তাদের ট্রমা থেকে বের করে নিয়ে এসে তাদের আবারও সমাজে পুনঃস্থাপন এবং তাদেরকে বুঝতে দেওয়া যে রাষ্ট্র তাদের বন্ধু, তাদের পাশে থাকবে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে। রাষ্ট্র সবসময় তরুণদের সাথে থাকবে। তারুণ্যের উৎসবে আমরা যোগ করেছি ক্রীড়া, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার তরুণদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তরুণদের এই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে।
 

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তারা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। আমরা দাবি করতে পারি সারা বাংলাদেশের মধ্যে সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, বিজয়ী হয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ শেষে ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/শহীদনুর/এসডি-৩০