হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি মনোনীত সিলেটের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা রাজনীতিবীদ সমাজসেবক সুদীপ রঞ্জন সেনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথ জিউর আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির উদ্যাগে গতকাল শনিবার বিকেলে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুধাংশু শেখর রায় বাচ্ছুর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক অমিত দেবের পরিচালনায় সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যঞ্জয় ধর ভোলা,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ সুকেন্দু বৈদ্য,সিলেট মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক বৈষ্ণবরায় ধাম সংরক্ষণ কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মানিক লাল দে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক জেলা বিএনপির সদস্য অশোক তালুকদার, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠচক্রের সভাপতি ডাঃ দিব্য রঞ্জন দে।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ জিউর আখড়ায় কেন্দ্রীয় মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন মন্দির কমিটির অর্থ সম্পাদক শশী কান্ত গোপ, শিক্ষক অনন্ত পাল, সুরাই দাস, খাশিলা নৃসিংহ জিউর আখড়া উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি শংকর জ্যোতি দে,রানীগঞ্জ ব্রাহ্মণগাঁও কালাচাঁদ মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ দাস, হরিনাকান্দি গোপাল জিউর আখড়া উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন দাস প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুদীপ রঞ্জন সেন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের তকমা থেকে হিন্দুদের বেরিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে জাতীয়তাবাদী দলের সৈনিক হিসেবে আমরা কাজ করছি। আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোন শক্তি কে যাতে কেউ সমর্থন না করে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জগন্নাথ জিউর আখড়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা বলেন, সংখ্যাঘুদের অধিকার সংরক্ষণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দুটি সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমাদেরই কিছু লোক ব্যক্তিস্বার্থে দেবত্তোর সম্পত্তি গ্রাস করছে এদের কে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। তিনি জগন্নাথপুরের এদুটো সংগঠনের কমিটি পুনগঠনের পরামর্শ দেন। পরে সংবর্ধিত অতিথি সহ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সন্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। শুরুতে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / প্রেবি / মাহি