বিশ্বব্যাংকের অথার্য়ণে সিলেটের ভোলাগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে দেশের ২৪ তম স্থলবন্দর। এই রুটে এখন পর্যন্ত একমাত্র আমদানি পণ্য লাইম স্টোন বা চুনাপাথর। ব্যবসায়ীদের দাবি এই রুটে অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি চাহিদা না থাকা ও বন্দরের বিপরীতে ভারত অংশে কোনো অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে না ওঠায় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে এই বন্দরটির কর্যক্রম।


তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরটির কর্যক্রম শুরু হলে এই রুটে অন্যান্য পণ্য আমদানি ও রপ্তানির দোয়ার খুলবে।


গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ভোলাগঞ্জ স্থল বন্দরকে দেশে ২৪তম স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি ৫২ একর খাস জমি লীজ নেওয়া হয়। গত বছরের জুন থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ।
 

স্থানীয় শ্রমিক জানান, বর্তমান ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে শুধু ভারতের পাহাড় ভাঙা পাথর আমদানি করা করা হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী হয় না কিছুই। সরকারি এই প্রকল্প কোন কাজে আসবে না।

ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, বিগত সরকার কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য শুধু চুনাপাথর আমদানি করা এই রুটে স্থলবন্দর অনুমোদন দিয়েছে। বন্দরের বিপরীতে ভারতের অংশে কোন অবকাঠামো নেই। সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো না।
 

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা দিদারুন নবী জানান, স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত স্থাপনার কাজ পুরদমে চলছে। এই স্টেশনে কাস্টমসের কোন কাঠামো নেই। পূর্ণাঙ্গ বন্দর হলে কমবে আমদানিতে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহমুর মুরাদ জানান, সরকার সবকিছু বিবেচনা করেই এখানে স্থলবন্দর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বন্দরটির কর্যক্রম শুরু হলে এই রুটে অন্যান্য পণ্য আমদানি ও রপ্তানির দোয়ার খুলবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে জেলার সবগুলো শুল্ক স্টেশন ও স্থল বন্দরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
 

২০১৯ সালে গৃহিত ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পটি আগামী জুলাই মাসে অপারেশনাল কার্যক্রমে যাওয়ার কথা রয়েছে।

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত/এসডি-১২