সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে নিরীহ কৃষকদের ফসলি জমিতে হকনগর পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির জোরপূর্বক খাল খনন ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী কৃষকসহ এলাকাবাসী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের সদস্য অজুফা খাতুন, সোনাভানু, ছায়দা বেগম, কুদ্দুছ মিয়া, ইউসুফ আলী, শাহ আলম, সাদেক মিয়া প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, “আমরা অসহায় দিনমজুর মানুষ। বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা জমিতে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সম্প্রতি ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে আমাদের পেটে লাথি মেরে আমাদের সর্বনাশ করেছেন স্থানীয় হকনগর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি। ফসল রক্ষার নামে অপরিকল্পিত এ বাঁধ নির্মাণে জোরপূর্বক আমাদের ফসলি কৃষিজমি খনন করে পুকুরে পরিণত করেছে তারা। এমনকি সরকারি কাজে মাটি কাটায় বাধা দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিবেন বলে আমাদের ভয়ভীতি দেখান তারা। আমরা অসহায় মানুষ বিধায় আমাদের বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক মাটির খননকাজ চালিয়ে যান তারা। অথচ সরকারি টাকা হরিলুট করতে আগের নির্মিত রাস্তার উপর মাটি ফেলে যে বাঁধটি তারা নির্মাণ করেছেন আদৌ সেটা আমাদের কৃষকদের কোনো উপকারে আসবে না। বরং যেদিকে বাঁধ দিলে কৃষকদের উপকারে আসতো সেদিকে বাঁধটি দেওয়া হয়নি। মূলত সরকারি অর্থ লুটপাটের উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে এমন কাজ করায় আমাদের শুধু সর্বনাশই হয়েছে। এখন ওই জমিতে চাষাবাদ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। শেষমেশ পুনরায় আমাদের জমি ভরাট করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে উল্টো মাটি ভরাটে ঘন্টাপ্রতি তিন হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে তারা। টাকা দিতে না পারায় বৃষ্টির পানিতে খননকৃত খাল এখন পুকুরে পরিনত হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে আগামি আমন মৌসুমেও আমরা চাষাবাদ করতে পারবো না। আমাদের ঘরবাড়ি নিয়েও রয়েছি বড়ই দুশ্চিন্তায়। সেহেতু, আমরা ওই বাঁধের ক্ষতিপূরণের জোর দাবি জানাচ্ছি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি। সেই সাথে সরজমিন পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানাই। আমরা এহেন দূরাবস্থার সঠিক বিচার চাই।”
সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/এসডি-১৫