পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সিলেট অ্যাওয়ারনেস ও এডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 


 

বুধবার সকালে সিলেটের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে শুরু হওয়া এই কর্মশালায় অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিকরা ও চা-শ্রমিকরা। 

 

 

কর্মশালায় সংগঠনটির পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ জানান, চা শ্রমিকরা তাদের অধিকার এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দোলদোলি, কেওয়াছেরা এবং হিলুয়াছড়া তিনটি চা বাগানে পরিচালিত গবেষণা থেকে জানা যায়,  ৬৫% শ্রমিকের মাসিক আয় ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ৬৪% শমিক নিয়মিত মজুরি পান না। ৯৭% শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সম্পর্কে অবগত না। শ্রমিকদের ৮২% বিশুদ্ধ পানির অ্যাক্সেসের অভাব রয়েছে। ৬৪% নিরক্ষর ছিলেন মাত্র ৩৩% প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পন্ন করেছেন। মাত্র ৩% মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট সম্পন্ন করেছেন। ৪২% শ্রমিক জানিয়েছেন যে তাদের সন্তানরা প্রায়শই স্কুলে যেতে পারে না।

 

 


এছাড়া বাগানগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। চা বাগানগুলিতে শিশু যত্নের সুবিধা পাওয়া যায় না। কর্মক্ষেত্রেরও নিরাপত্তা সন্তোষজনক না। মাত্র ১০% ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন, ৮০% আইন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। ৫১% উল্লেখ করেছেন যে তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই।

 

 


অ্যাডভোকেসি সভার মূল উদ্দেশ্য হল নীতিগত স্তরকে প্রভাবিত করা, যা প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।

 

 


চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীরা।

 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত