সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাড়ির বন্ধ কক্ষ থেকে মামা-ভাগনে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবনে মৃত্যু হয়েছে তাদের। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে গোলাপগঞ্জ সদরের গোয়াসপুর রুইগড় গ্রামে ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজন হলেন- উপজেলার গোয়াসপুর রুইগড় গ্রামের ফরিদ আহমদ (৪৫) ও কানাইঘাটের সড়কের বাজার এলাকার রুবেল আহমদ (৩৬)। তারা সম্পর্কে মামা–ভাগনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন তার ভাগনে রুবেল আহমদ। সেলিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই ফরিদ আহমদ। ফরিদের সঙ্গে রুবেল চলাফেরা করতেন। সেলিমের বাড়ির একটি কক্ষে থাকতেন রুবেল। রবিবার রাতে রুবেল যে কক্ষে থাকতেন, সেটি ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান সেলিমের বাড়ির লোকজন। এ সময় ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে ঢুকে ফরিদ ও রুবেলকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুজন অতিরিক্ত মাদক সেবনে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আসার পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত /এসডি-২০