বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে পল­বী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী মো. রমজান আলী সিটু, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মো. আলমগীর, গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল ওরফে রাসেল আল জোবায়ের, ঢাকা মহানগর ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৬ নম্বর ধামঘর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কুমিল্লা ৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ-সদস্যের এপিএস মো. আব্দুল কাদের। শুক্রবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। ‍

 


লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। শুক্রবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শিমুল ভূঁইয়াসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়। তারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

 


নওগাঁর মহাদেবপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতভর ও শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামিদের শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  গ্রেফতাররা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাসস্ট্যান্ড এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে ডা. মজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়েস্থপাড়ার মোসলেম উদ্দীনের ছেলে এমদাদুল হক, উপজেলার আওয়ামী লীগের সদস্য আজিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শরমইল গ্রামের ভিকু মণ্ডলের ছেলে বাদের আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মসম্পাদক সদরের স্কুলপাড়ার আব্দুর রউফ মণ্ডলের ছেলে রাহিদুজ্জামান রাহিদ, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য খোশালপুর গ্রামের উপছের আলীর ছেলে মো. রানা।

 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযানে নাচোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালুসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে জেলার ৫টি থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মধ্যে ৪ জন সদর থানা, ২ জন শিবগঞ্জ থানা, ১ জন গোমস্তাপুর থানা, ৫ জন নাচোল থানা এবং একজনকে ভোলাহাট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বিভিন্ন থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য  হচ্ছেন সদরে বিস্ফোরক মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী হাম্মাদ আলী (৭০), শিবগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ আমলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক পুলিশ সদস্য আল মামুন (৪০), নাচোলে পুকুর নিয়ে মারামারি মামলায় সাবেক পৌর মেয়র এবং নাচোল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রশিদ খাঁন ঝালু (৬৫) এবং বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নাচোল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হাসান তারিফ(২৯)।

 

নীলফামারীর ডিমলায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী (৪৮), ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মশিউর রহমান (৩৫) ও যুবলীগের খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল ওহাব (৩২)।

 


কুমিল্লার চান্দিনায় মো. জালাল হোসেন নামে এক মৎস্যজীবী লীগ নেতা ও আহমেদ শরীফ মিঠু নামে অপর এক পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) মধ্যরাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে চান্দিনা থানা পুলিশ। শুক্রবার এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 


বিশেষ অভিযানে ফরিদপুরের সালথায় মো. কামাল হোসেন (৪৫) ও হেমায়েত হোসেন (৫০) নামে দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে গ্রেপ্তার নেতাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) গভীর রাতে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নওপাড়া ও বাতাগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/সানি