ব্রাজিলের কোচ মানেই নিজ দেশের কেউ হবেন, এটাই যেন ছিল অলিখিত নিয়ম। পেলেকে ঘিরে গড়া দল হোক বা রোনালদো-কাকাদের সোনালি প্রজন্ম, ব্রাজিলের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে ছিলেন দেশি কোচরাই। সেই ধারায় পরিবর্তন আনল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।


বিশ্ব ফুটবলে আধুনিক কৌশলের বিপ্লব এবং একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রত্যাশার নিচে পারফর্ম করার প্রেক্ষিতে তারা খুঁজলেন এক পরিপক্ব, বিশ্বস্ত, এবং অভিজ্ঞ কৌশলবিদ। বলা হচ্ছে ইতালিয়ান সাবেক তারকা এবং সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্ল আনচেলোত্তির নাম।


ইতালিয়ান এই সাবেক তারকার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনাও হলো সেলেসাওদের। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল জাদুকরদের ডাগআউটে এবার জায়গা করে নিলেন একজন ইউরোপিয়ান। কেননা আনচেলোত্তিই ব্রাজিল জাতীয় দলের ইতিহাসে প্রথম ভিনদেশী কোচ।
 

ফুটবল বিশ্বের পরিচিত মুখ আনচেলোত্তি। ইতালির সাবেক এই মিডফিল্ডার কোচিং ক্যারিয়ারে এসি মিলান, চেলসি, পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবগুলোতে সাফল্যের ছাপ রেখেছেন। তাঁর ঝুলিতে আছে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। যার তিনটি রিয়ালের হয়ে আর দুটি মিলানের হয়ে। তবে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়া যেন তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং ঐতিহাসিক অধ্যায় হতে চলেছে।
 

কেননা ব্রাজিল এখন তরুণ প্রতিভায় ভরপুর। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, আন্দ্রে সান্তোসরা রয়েছে গতি, স্কিল এবং সামর্থ্যের অপার সম্ভাবনায়। আনচেলোত্তির কাজ হবে এই প্রতিভাগুলোকে ঠিকঠাকভাবে পরিচালনা করে বিশ্বমঞ্চে আবারও ব্রাজিলকে সিংহাসনে বসানো।

ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতিতে কতটা খাপ খাওয়াতে পারেন আনচেলোত্তি, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত, তিনি আসায় ব্রাজিল দলে আসছে নতুন চিন্তা, নতুন কৌশল এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার এক নতুন মাত্রা।
 

ব্রাজিলীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রেসিডেন্ট এদনালদো রদ্রিগেস জানান, ‘কার্লো আনচেলোত্তিকে ব্রাজিলে আনা কেবল কৌশলগত সিদ্ধান্ত নয়। এটা বিশ্বকে বার্তা দিচ্ছে, আমরা আবার শীর্ষে ফিরতে চাই। তিনি ইতিহাসের সেরা কোচ, এখন সেরা জাতীয় দলের দায়িত্বে। একসঙ্গে আমরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন গৌরবগাথা লিখব।’

ইএসপেন ব্রাজিলের মতে, আনচেলত্তি প্রতি মাসে প্রায় ৮,৫০,০০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা ১ কোটি টাকা)। আর বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার বেতন পাবেন। বাংলাদেশি টাকায় যা ১১৫কোটি টাকা।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১২