সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত হন। সোমবার (১২ মে) রাতে সাড়ে ১০টার দিকে পিডিবি বিদ্যুতের খুটিতে লাইন সংযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষির ঘটনা ঘটে। কিলঘুষির এক পর্যায়ে এক পক্ষের বৃদ্ধ গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

 


নিহত বৃদ্ধ ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী বেরাজপুর গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর ছেলে সোনাফর আলী (৭৫)।

 

জানা যায়, দিঘলী বেরাজপুর গ্রামের রাস্তার পাশ দিয়ে পিডিবি বিদ্যুতের লাইন বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু ওই লাইনে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। তারে লাঠি দ্বারা আঘাত করলে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। সোমবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়ির কয়েছ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম বিদ্যুৎের লাইনে লাঠি দ্বারা আঘাত করেন। এসময় মৃত মসলিম আলীর ছেলে সোনাফর আলী দেখেন তার ঘরে বিদ্যুৎ ছিল কিন্তু লাইনে আঘাত করায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ নিয়ে সেলিনার সাথে কথা কাটাকাটি হয় সোনাফর আলীর। সেলিনার পক্ষ নেয় তার স্বামীর চাচাতো ভাই ময়না মিয়ার ছেলে লেগুনা চালক তাজ উদ্দিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে বসেন। সালিশ চলাকালে দুই পক্ষ হঠাৎ উত্তেজিত হলে সালিশ ব্যক্তিরা তাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। এক পক্ষ ঘরে ফিরে দিলে অপর পক্ষের তাজ উদ্দিনরা সোনাফর আলীকে একা পেয়ে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি কিলঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই সালিশ ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দাফন করা হয়েছে। এদিকে বৃদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতেই হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতে ছাতক থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

 

এদিকে, নিহত সোনাফর আলীর ছেলে জায়েদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন- সালিশ ব্যক্তিদের কথায় তারা দুই ভাই বসতঘরে ফিরে যান। এসময় ময়না মিয়ার ছেলে স্ত্রী হত্যাকারি তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০জনের একটি সংঘবদ্ধরা তার পিতাকে একা পেয়ে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি তার পিতা হত্যার বিচার চান। 

 

এ ব্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ এহিয়া-০৭