বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৬ কোটি মার্কিন ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস)। ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও জাতিগত হয়রানির অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ‘ইহুদিবিদ্বেষ এবং জাতিগত বৈষম্য মোকাবেলায় হার্ভার্ডের অব্যাহত ব্যর্থতার কারণে বহু বছরের এই বহুমুখী অনুদান বাতিল করছে এইচএইচএস।’
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান এবং চুক্তি জব্দ বা বাতিল করেছে।
বিশ্বখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, তারা শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাতিগত পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইহুদি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে দিচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রয়টার্স জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগে, এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলেছিল, স্থগিত বা বাতিল হওয়া অনুদানগুলো ‘নিজেদের পক্ষে পুরোপুরি বহন করা সম্ভব নয়’। আর তাই গবেষকদের জন্য বিকল্প তহবিলের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে তারা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের অনুদান বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হার্ভার্ডের পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও কথিত ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্যস্থলে পরিণত রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থানের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা তহবিল ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘চরম বামপন্থী, মার্ক্সবাদী ও মার্কিন-বিরোধী’ চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৩