চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পাশে রয়েছে বিএনপি। একই সাথে খুন গুমের শিকার এবং আন্দোলনের ত্যাগী পরিবারের পাশে থাকবে দলটি। পবিত্র ঈদুল আজহায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত সালমান বিন সোয়াইব ও আলাল আহমদের সাথে তাদের বাসায় গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী।

এ সময় মাহবুব চৌধুরী বলেন, দেশে বহুমাত্রিক সংস্কার দরকার হলেও এখনও কোন সংস্কারের দেখা পেলাম না। কতগুলো সংস্কার আছে যেগুলোর সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর কোন বিরোধ নেই এমন অসংখ্য সংস্কার অন্তর্বতীকালীন সরকারই চাইলেই করতে পারত। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটছেনা। সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে এ বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়। গত ১০ মাসে আমাদের জুলাই বিপ্লবের মূল আকাঙ্খা এখন রীতিমতো হতাশায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশে যে ইস্পাতকাঠিন দৃঢ় রাজনৈতিক ঐক্য  ৫ আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই ঐক্য কতটুকু আছে? রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট বেড়েছে। জুলাই বিপ্লবীদের ত্যাগ ও জীবন দান আমরা কোন দিন ভূলবো না।


জীবিকার নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সুশাসন, কর্মসংস্থান ও নাগরিক সুবিধা, কাঠামোগত সংস্কার এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের অস্পষ্ট নীতি ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোর ঘাটতি, আইনের অস্পষ্টতা ও জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দুরিকরণে কোন সংস্কার এখনো দেখিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ছিল। সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিলেই পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব ছিল বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

৮ জুন রবিবার রাতে তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চব্বিশের গনঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত দুই পরিবার সালমান বিন সোয়াইব ও আলাল আহমদের সাথে তাদের সিলেটের  বাসায় গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন এবং চিকিৎসার খোজ খবর নেন।

উল্লেখ্য যে ৫ আগষ্ট ঢাকার রামপুরায় ইষ্ট ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে ইনবেন্ড ইলেকট্রিক কোম্পানির ম্যানেজার সিলেটের ছেলে সালমান বিন সোয়াইব পুলিশ ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তার দুটি চোখ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। অন্তর্বতী সরকার তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য পাটালেও তেমন উন্নত হয়নি তার অবস্হা। তিনি এখনও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আলাল আহমদ ৪ আগষ্ট সিলেটের মানিকপীর রোডে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের গুলিতে গুরুতর আহত হন, তারও দুটি চোখ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। আলালকে ও এখনও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

এ কর্মসূচীতে আরো ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা ও স্হানীয় ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ লাকী, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল, আহছানুজ্জামান শহিদ, সৈয়দ আখতার আহমদ, যুবদল নেতা সুজন।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১২