সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন। শনিবার (০৫ জুলাই) সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা রেখে গেছেন।

 


তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছেন বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী। 

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তার মরদেহ ওই হাসপাতালে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেয়ে দেশে ফিরলে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে।

 

এ টি এম শামসুল হুদা সিইসি হিসেবে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করেন। এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। পরে দেশ স্বাধীন হলে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। চাকরি জীবনে তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক (সাব ডিভিশনাল অফিসার), পানি সম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

শোক বর্তায় বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের শাসন আমল উত্তর (১৯৯১-৯৬) বিএনপি সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সাথে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে তিনি অর্থ সচিব হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।তিনি একজন ভালো ক্যারিশম্যাটিক সিএসপি অফিসার ছিলেন।

 

১৯৯৪ সালে তিনি অর্থ সচিব থাকাকালে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে কৃষি ব্যংকে উদ্ভোদনে আমি তার সাথে ছিলাম। উদ্বোদন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী, বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য জনাব এম সাইফুর রহমান। মরহুম সিইসি জনাব এটিএম সামছুল হুদা ছাড়াও সিলেট ০১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য জনাব খন্দকার আব্দুল মালিক ও ছিলেন।

 

তাহার সাথে অনেক স্মৃতির কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ এহিয়া