প্রকাশিত: ২৯ মে, ২০২১ ২২:১২ (রবিবার)
অনুভব আহমেদের কবিতা

অনুভব আহমেদের কবিতা

খেয়েছো চুমু, জীভে ঠোঁটে দাহকালে
পেঁপের ভেতর যখন নীরবে প্রেম পাঁকে
দুই দান ঘুঁটি হারা দাবার ময়দান
এলোচুলে নিশিভ্রমে গেলে যার পেয়েছো উঠান
ছড়িয়েছো নাভীঘ্রাণ কস্তুরী বনে বনে
মেঘের পৈতা পরা কোনও এক হাওয়াকালে
ঝড় জ্বরে অরুচিতে নিভেছে নুন পাত
বেনোজলে ভেসেছে ডোম, সময়ের রেখাপাত
এখানে দিনের বাঁকে কেরোসিনের গন্ধ
কামনায় বিহ্বল ডাহুকের পরাগে
অস্ত যাওয়া জীবনের শরীরী রাগে
আবার আসবে জানি, সেদিন দূরে নয়
জলের পদ্ম বিভ্রমে ফাঁদ হয়
ডুব যায় কোন সে নারী রিরংসার জলে, তীব্র করে তার হৃদেরে।



মৃত প্রায় তীরবর্তী ঘনঘোর তল্লাট ; ঝোপ ডাকে
চুপিসারে সরে যায় ক্ষীণ দেহ বর্ষায়
ফুটেছে বেতস পাতায় উল্কার যূথিমালা
নীরবে কে যায়, চোখ তার ঢেউয়ে আঁকা
কূলে কূলে মল্লার বেয়ে যায় জালখানি
মুছেছে ভাগ্যরেখা কতকালের ডোরাপাখি
আগুনে আগুন দেখে ঝলসায় শ্যামলিকা
কোরকে ধূম্রজালে নেমেছে অতল ঘুম
বেয়ে গেছে জলের রেখা, সে ব্যথামঞ্জরি
চৈত্রের মাঠে রোদ অকাল বাসনায়
স্তন চুয়ে তৃষ্ণায় শিশুর কান্নায়
ধীর পায়ে যায় কে? কার গল্প বলে?
ঐ দূরে আলো কাটে পড়শি নোনা পাড়
তুমি শোনো কানে কানে যে শরীর এখনও জাগে?


এলানো সৈকতে বালি ঢিবি উঁচু উঁচু
নত জীবন হেসে কাটানো ঢেউগুলো
খুব কাছে ঝাউবনে বাতাসের আলজীভ
নীভু স্বরে কথা বলে মানুষ মানুসীর
একটু অবসরে মুখোমুখি যারা
একটানে খসে পড়ে মেকি পলেস্তরা
হ্রস্বস্বরের পাখিদের বকুলের ব্যথা
জীবন জুড়ে মানুষের নিনাদেরা
হাপর বাইছে জীবন মিছে কামারেপনা
পৃথিবী লাটিম ছুড়লো কে সজোরে
অন্বয় হয়ে আছে শ্লেষ, দ্বেষ, প্রণয়ে

নিভল বাতিতে তার সমীহপনা


ঘর জুড়ে জল, ঊন বরষা
শরীরে নামল কাম লালসা
ডালিম পাতার গোপনে তুমি এলে
এখন-
বনের শব্দে সারাদিন ঝরাপাতা
হটিট্টিরা ওড়ে মানুষের শরীরে
তবু
এখনও -
শব্দে চমকায় শরীর গ্রন্থি
তুমি এলে এই বিভ্রমে।



উড়ে এলে তোমার ঘ্রাণ, হঠাৎ করেই সন্ধে নেমে আসে
মাঠের গরুটা ফিরে যেতে যেতে বাড়ি একটুখানি চোখ তুলে যায়
প্রেম বোঝেনা সংকেতময় কামনা
কামনার নেই অন্ধ প্রেমের চোখ
তুমি আমি তাই বয়ে যাই ঢেউয়ে ঢেউয়ে
প্রেম পরে থাকে পুরোনো বইয়ের তাক
চিঠি লেখেনা এ যুগের অক্ষর, মানুষ ভীষণ হিসেবের কাটা ছক
এলোমেলো হাওয়া এলে বন্ধ জানালায়
ফিরে যায় সে কাঁচের ধাক্কায়