প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২৫ (বৃহস্পতিবার)
তিন দফা দাবি না মানলে আন্দোলনের হুমকি সিলেটে মেটলাইফ’র

মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির হয়রানি বন্ধ ও তিন দফা দাবি না মানলে দুর্বার আন্দোলন এবং আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন পলিসি হোল্ডাররা।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে হয়রানির শিকার গ্রাহকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়েছেন জকিগঞ্জের আমবাড়ি গ্রামের মাসুক আহমদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মেটলাইফ কবির খান বারুতখানা এজেন্সির বীমা প্রতিনিধি রাসেল উজ-জামানের প্রস্তাবে তারা কবির খানের পলিসি কিনেন এবং তাদের অনেক বন্ধু ও আত্মীস্বজনকে কিনতে উৎসাহিত করেন। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় এ কোম্পানি দুর্ণীতিগ্রস্ত বলে খবর প্রকাশ হলে তারা রাসেল-উজ-জামানের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান কবির খান তাকেও বরখাস্ত করেছেন। মাসুক বলেন, আমরা কবির খানের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি আমাদের কোন সহযোগীতা করেন নি। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আমরা দরগা গেইটের বিভাগীয় অফিসে যোগাযোগ করি। সেখান থেকেও কোন সহযোগীতা না করে কবির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়। এভাবে দীর্ঘদিন থেকে আমরা চরম হয়রানির মধ্যে আছি।

তিনি বলেন, কবির উদ্দিন ও রাসেল-উজ-জামানের এমন অসহযোগীতায় আমরা এখন চরম আর্থিক ক্ষতির আশংকায় আছি। পলিসি ক্রয়ের সময় তারা আমাদের যেসব সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমরা তার কোনটিই পাইনি। আমরা সংবাদপত্রের খবরে জানতে পারি, গ্রাহকদের দেয়া প্রতিশ্রুতির দায়দায়িত্ব মেটলাইফ কোম্পানিটি নিতে অস্বীকার করেছে। কোম্পানির নিয়োগ করা ফাইনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের জমাকৃত টাকার মালিক এখন মেটলাইফ কোম্পানি। ইতিমধ্যে রাসেল উজ- জামান ও কবির উদ্দিন খানের অসহযোগীতায় আমাদের অনেক পলিসি বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের জমাকৃত অনেক দলিলও ফেরত দেয়া হচ্ছেনা।

মাসুক বলেন, কোম্পানির এমন প্রতরানামূলক আচরণে আমরা আর তাদের প্রতি আস্তা রাখতে পারছিনা। তাই আমরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অবিলম্বে এসব দাবি না মানলে আমরা গ্রাহকদে নিয়ে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে সিলেটসহ সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং আইনী লড়াইয়ে আদালতে যাবো। আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, মেটলাইফ কোম্পানির প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অপকৌশল বন্ধ এবং আমাদের জমাকৃত টাকা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, মো. রাসেল উজ- জামান ও কবির উদ্দিন খানকে শাস্তির আওতায় আনা এবং আমাদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করা।

তিনি মেটলাইফের গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সিলেটের গণমাধ্যম কর্মীদের সাহায্য চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মেটলাইফের পলিসি গ্রাহক মো. ফখরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ আজাদ, নজমুল ইসলাম মাছুম, এমরান হোসেন চৌধুরী, এরশাদ মিয়া, ফেরদৌসী বেগম, রুবেল আহমদ প্রমুখ।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০২