প্রকাশিত: ১৭ মে, ২০২২ ১৯:৩৮ (মঙ্গলবার)
দোয়ারাবাজারে লাখো মানুষ পানিবন্দী

গত ৭ দিনের অব্যাহত ভারি বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দেখা দিয়েছে অকাল বন্যা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বগুলা, বাংলাবাজার, লক্ষীপুর, সুরমা, নরসিংপুর ও দোয়ারা সদরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ। 

 

উপজেলা সদরের সাথে সবক'টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তলিয়ে গেছে বন্দেহরি, গোজাউড়া ও নাইন্দার হাওরসহ উপজেলার সকল ফসলের মাঠ। এসব হাওরের অধিকাংশ পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারায় আহাজারি থামছেনা প্রান্তিক বর্গাচাষীসহ ভূক্তভোগী কৃষকদের। রাস্তা, মাঠঘাট ও গোচারণভূমি তলিয়ে ষাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। ঘরের মেঝেতে হাটুপানি, কোমরপানি থাকায় হাড়ি বসছেনা অনেক বানভাসি পরিবারে। 

ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়াসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

 

এদিকে মঙ্গলবার দিনভর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ পর্যবেক্ষণ করেছেন বন্যা উপদ্রুত এলাকাসমুহ।

 

হতদরিদ্র অনেক বন্যার্ত পরিবারকে গবাদিপশুসহ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরসহ তাদের মধ্যে শুকনাো খাবার বিতরণ করেন। সাথে ছিলেন উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু, সরমা ইউপি চেয়ারম্যান  আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক প্রমুখ। 

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবারসহ জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

 

কৃষকদের নষ্ট হওয়ার উপক্রম ধান গুদামে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/টিআই/এসডি-৩৫