প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৩০ (মঙ্গলবার)
আলো জ্বলছে শাবির গাজী কালুর টিলায়

দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের বুলবুল আহমেদ (২২) নামের এক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকার গাজীকালুর টিলায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন, অবরোধ ও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিকল সিসিটিভি সংস্কারসহ বুলবুল হত্যার ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় আলোর ব্যবস্থা রাখতে কাজ শুরু করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বুলবুল হত্যার ঘটনাস্থলের ১০ ফুট দূরে একটি সৌরবাতির খুঁটি পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যা হতেই না হতে পরীক্ষামূলকভাবে স্নাপন করা বাতিটি জ্বলে ওঠতে শুরু করে। 

জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকার গাজীকালুর টিলায় ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বুলবুল। বৈদ্যুতিক বাতি কিংবা সৌরবাতির খুঁটি না থাকায় আলোর অভাবে সন্ধ্যার পর ওই স্থানসহ কিছু নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এসব কারণে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ঊর্মি বুলবুল হত্যায় সম্পৃক্তদের শনাক্ত করতে পারেন নি। তবে পুলিশের ঘটনায় সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামী আদালতে ঘটনার সঙ্গে দায়বদ্ধতার কথা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধি দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শাবি প্রশাসন ক্যাম্পাসে লাগানো ৭২ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে বিকল থাকা ৫৩ টি ক্যামেরা সচল করতে কাজ করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা নির্ধারণ করে সৌরবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বুলবুল হত্যার ঘটনাস্থলের প্রায় ১০ ফুট দূরে ২৫ ওয়াটবিশিষ্ট একটি সৌরবাতি স্থাপন করেন। সন্ধ্যার পর এটি জ্বলে ওঠে আশপাশ আলোকিত করে।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের বেশ কিছু টিলা সংলগ্ন স্থানে সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে এসব এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এতে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর এসব এলাকায় গেলে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। বহিরাগত ব্যক্তিরা এসব অপরাধ ঘটাচ্ছেন। তাই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এসব স্থানে সড়কবাতি স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বুলবুল হত্যার পর শিক্ষার্থীদের দাবি আরও জোরদার হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা প্রাচীর ও বিকল সিসিটিভি সংস্কারের দাবি জানান।


নিউজিল্যান্ড এলাকার গাজীকালুর টিলায় সৌরবাতি লাগানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা বুলবুল হত্যার ঘটনাস্থলের প্রায় ১০ ফুট দূরে ২৫ ওয়ার্ডের একটি সৌরবাতি স্থাপন করেছি। বর্তমানে এর আলোর বিস্তৃত কতোটুকু হচ্ছে সেটা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা তা পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের অনুমতি সাপেক্ষে আরও সৌরবাতি স্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশাকরি এভাবে আলোক স্বল্পতার সমাধান করা যাবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেপি