প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট, ২০২২ ২১:৫৯ (মঙ্গলবার)
ওসমানী হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনকারী ১ম সার্জন অধ্যাপক মনিলাল আইচ

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান দেশবরেণ্য সার্জন অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু প্রথমবারের মতো গেল ১-২ আগস্ট দুজন বধির রোগীর কানে সার্জারির মাধ্যমে শ্রবণযন্ত্র কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপন করেন। এই নিয়ে মোট আটজন বধির রোগীর কানে এ অপারেশন করা হলো।

এর আগে এ ধরণের অপারেশন ঢাকা থেকে আগত অভিজ্ঞ কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জন দিয়ে করা হতো। সর্বশেষ দুটি অপারেশন ঢাকার কক্লিয়ার সার্জনের উপস্থিতিতে অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু নিজেই সম্পন্ন করেন । এর ফলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।

এ সার্জারিতে অন্যতম মূখ্য ভূমিকা পালন করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচি পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম, ডা. মো. শাহকামাল ও ডা. কৃষ্ণ কান্ত ভৌমিক । এতে সার্জিকেল এসিস্টেন্সিতে ছিলেন এমএস কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ডা. মেশকাত রায়হান ও ডা. অরূপ রাউৎ।  সংশ্লিষ্টরা অচিরে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিওমেকহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে অপারেশন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন এবং খোঁজখবর রাখেন। মূলত তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় অত্যন্ত জটিল এই কার্যক্রম স্বল্পসময়ে গতি লাভ করে। সার্জনরা অপারেশনের পর অপারেশন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য যে, বিগত ২৫ মে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর অধীনে পরিচালিত ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম’ এর আওতায় প্রথমবারের মত দুজন জন্মবধির তথা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুর কানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপন করা হয়। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জিকেল টিমের প্রধান নাক-কান-গলা ও হেড সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রথম ও দ্বিতীয় অপারেশন টিমের মূল সার্জন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানু লাল সাহা ও ডা. হারুনুর রশীদ তালুকদার ইয়ামিন। এখন পর্যন্ত অপারেশন হওয়া আটজন রোগীই ভালো আছেন।

এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এম নূরুল ইসলাম বলেন, ‌‘অপারেশন পরবর্তী অডিওভার্বাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপিসহ আনুষঙ্গিক আরো বেশ কিছু বিষয়ের উপর রোগীর শ্রবণ ফিরে পাওয়া অনেকটাই নির্ভরশীল।’

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা সিলেটে এই অপারেশন নিয়মিত ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম’ এর পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি