প্রকাশিত: ১১ আগস্ট, ২০২২ ১৪:১৩ (বৃহস্পতিবার)
শাহজালালে না পেরে সিলেটে আসছে এয়ার অ্যাস্ট্রা

রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেস স্থাপনের অনুমতি পাচ্ছে না ফ্লাইট চালুর অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি এয়ারলাইন্স ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’। বাধ্য হয়ে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ সিলেট থেকে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে। চট্টগ্রামকেও বিবেচনায় রেখেছে তারা।

এয়ার অ্যাস্ট্রা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এটিআর সেভেনটি টু মডেলের প্রথম উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যে পেইন্টিং শেষে বর্তমানে বুলগেরিয়ায় আছে। সেখান থেকে আগামী মাস, তথা সেপ্টেম্বরের শুরুতে সেটি দেশে আসবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) উড়োজাহাজটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে। ছাড়পত্র পেলেই আকাশে উড়াল দিতে চায় এয়ার অ্যাস্ট্রা।

কিন্তু বেবিচক বলছে, বর্তমানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলছে। এই অবস্থায় এ বিমানবন্দরে নতুন কোনো এয়ারলাইন্সকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এরই প্রেক্ষিতে বিপাকে পড়েছে এয়ার অ্যাস্ট্রা কর্তৃপক্ষ। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা বেস স্থাপনের জন্য সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দরকে বিবেচনায় নিয়েছে। সিলেটে বেস স্থাপন হলে রাতের বেলা এয়ার অ্যাস্ট্রার উড়োজাহাজ এখানে পার্কিং করে রাখবে তারা।

এ প্রসঙ্গে এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যে পেইন্টিংয়ের কাজ শেষে বুলগেরিয়ায় এসেছে। আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজটি ডেলিভারি নেব। বুলগেরিয়া থেকে আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের প্রথমার্থের কোনো এক সময়ে এটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এরপর এটি এয়ারওর্দিনেস সার্টিফিকেট (এওসি) পাবে। এরপর থেকেই আমরা অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করবো।’

তিনি বলেন, ‘বেবিচক আমাদের বলেছে, এই মুহূর্তে শাহজালালে ওভারনাইট পার্কিংয়ের সুযোগ নেই। আমাদের অন্য কোনো বিমানবন্দরে রাতে পার্কিং করতে বলেছে। আমরা সে অনুযায়ী সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে রাতে পার্কিংয়ের সব ব্যবস্থা করেছি।’

ইমরান আসিফ আরও বলেন, ‘আমরা অপারেশন শুরুর পর সকালে সিলেট বা চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট ঢাকায় নিয়ে আসব এবং সারাদিন এখান থেকে অপারেট করে রাতে আবার সিলেট বা চট্টগ্রামে ফ্লাইট নিয়ে গিয়ে সেখানে রাত্রিকালীন পার্কিং করব।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গেল ২৫ বছরে ১০টি বেসরকারি এয়ালাইন্স যাত্রা শুরু করে। কিন্তু টিকে আছে কেবল দুটি। একটি ইউএস-বাংলা, অপরটি নভোএয়ার। এয়ার অ্যাস্ট্রা ফ্লাইট চালু করলে বেসরকারি এয়ারলাইন্স হবে তিনটি।

অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার বিভিন্ন সময়ে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে