প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:২৬ (শনিবার)
শাল্লার সুধন খল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার সুধন খল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্য সম্প্রতি এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তা ও দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগে উল্লেখ- লিটন চন্দ্র তালুকদার শাল্লা উপজেলার সুধন খল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭ বছর ধরে কর্মরত। শুরু থেকেই তিনি পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ছাড়াই ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করেন।  প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেনও না। সপ্তাহে দু-একদিন এসে পাঠদানের সময় এলাকার বিভিন্নজনের বাড়িতে গিয়ে গল্পে মেতে উঠেন। সহকারী শিক্ষকরা কীভাবে পাঠদান করছেন সে বিষয়েও নেন না কোনো খোঁজখবর। ফলে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান তলানিতে পৌঁছেছে। ঠিকমতো পড়ালেখা না হওয়া এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এতে স্থানীয় শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন অভিভাবকরা। 

এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীরা এ বিষয়ে উল্লেখ করেন- প্রতি বছর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ ও স্কুল মেরামতসহ বিভিন্ন কাজের জন্য আসা সরকারি বরাদ্দের টাকা এবং ব্যয়ের হিসাব কখনোই তিনি কমিটিকে দেননি। জানতে চাইলে উল্টো কমিটির সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বলেন- ‘এসবের হিসাব উপজেলা শিক্ষা অফিস নিবে’। দুর্নীতির ধারাবাহিকতায় তিনি বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সেই হিসাব কমিটিতে দিতেও অপরাগতা প্রকাশ করেন। 

লিটন চন্দ্র তালুকদারের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তদন্তপূর্বক তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে লিটন চন্দ্র তালুকদার সিলেটভিউ-কে বলেন- পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্যব্রত তালুকদার ব্যক্তিগত কারণে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকায় ভাগ চেয়েছিলেন, আমি দিতে সম্মত হইনি বলেই তিনি আমার উপরে ক্ষেপেছেন। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আশা করছি সুষ্ঠু তদন্তে সকল সত্য বেরিয়ে আসবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম