প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:২১ (রবিবার)
অপহরণের ৫৬ ঘণ্টা পর মাটির নিচ থেকে শিশুর বস্তাবন্দ্বি মরদেহ উদ্ধার

মুক্তিপণের দাবিতে দিনাজপুরের খানসামায় অপহরণের ৫৬ ঘণ্টা পর মাটিতে পোঁতা বস্তাবন্দ্বি শিশু আরিফুরজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আটক অপহরণকারীদের স্বীকারোক্তি মতো রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় খানসামা উপজেলার পাকেরহাটস্থ মহাসড়ক সংলগ্ন জিকরুলের মিলের পার্শ্বে নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনা খুঁড়ে বস্তাবন্দ্বি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশু আরিফুরজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ এবং খানসামা থানা পুলিশসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দ্বি হাত-পা বাঁধা সাত বছরের শিশু আরিফুরজ্জামান মরদেহ উদ্ধারের পর সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

ঠাকুরগাঁও এ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় এ সময় বাড়ির মালিক নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ী চালক আব্দুস সালাম বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ঘরে বাড়িটিতে দু'জন ভাড়াটিয়া রেখেছেন। তারমধ্যে ভাড়াটিয়া হিসেবে এক অপহরণকারী রয়েছে।

খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, অপহরণের ঘটনাটি ঘটে ২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খানসামা উপজেলার ইউপি ৪ নং খামার পাড়া ইউপির কায়েমপুর ডাক্তার পাড়া গ্রামে। দিন মজুর আতিউর রহমানের ছেলে আরিফুজ্জামানকে অপহরণের পর মুঠোফোনে এক লাখ মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায়

এ ঘটনায় আমরা সন্দেহভাজন তিন যুবকে আটক করি। আটককৃতরা হলেন, কায়েমপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শরিফুল (২৪), গফুর উদ্দীন শাহপাড়া গ্রামের ওবায়দুরের ছেলে শামীম (২২) ও একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে শাহিনুর। অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তারা অস্বীকৃতি জানালেও কৌশলে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে পুলিশ। রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় খানসামা উপজেলার পাকেরহাটস্থ মহাসড়ক সংলগ্ন জিকরুলের মিলের পার্শ্বে নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনা খুঁড়ে বস্তাবন্দ্বি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশু আরিফুরজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশু আরিফুজ্জামান বাড়ির অদূরে চেহেলগাজী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। মাটিতে পুঁতে রাখা হাত-পা বাঁধা শিশু আরিফুরজ্জামানের বস্তাবন্দ্বি মরদেহটি মিলেছে বাড়ি থেকে কমপক্ষে সাত কিলো মিটার দূরে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৫