প্রকাশিত: ০৮ মার্চ, ২০২৩ ২১:৪২ (রবিবার)
'দলের-দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নাচন যোগ্যতর প্রার্থী'

রেজাউল করিম নাচন। ছাত্রদলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নাচন নিজে হয়তো কখনো ইতিহাস হতে পারেনি। কিন্তু নব্বই দশকের শুরুর দিক থেকে সিলেট ছাত্রদল-বিএনপি'র প্রতিটি ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে ছিলো এবং আছে। 
 

আমরা যারা ১৯৯৩ সালে সিলেট সরকারী কলেজ থেকে সক্রিয় ছাত্ররাজনীতি শুরু করেছিলাম, রেজাউল করিম নাচন সেই সময়ের আমাদের সবার থেকে অনেক বেশী এক অগ্রগামী সৈনিক ছিলো। রাজনৈতিক পদ-পদবি পেতে যে ভাগ্য বা কপালটা লাগে, সেই জিনিসটার বড়ো অভাব ছিল এবং আছে নাচনের। কলেজ বা শহরের রাজনীতিতে আমাদের বন্ধু-বান্ধবের সবার থেকে এগিয়ে থেকেও রাজনৈতিক পদ-পদবি পাওয়ার সময় নাচনের ভাগ্য বা পক্ষ তাকে পিছিয়ে রেখেছিলো। আমাদের মধ্যে প্রথম মামলা খাওয়া নাচনের আর প্রথম জেলে যাওয়াও নাচনের। 

যাকে সামনে রেখে ১৯৯৩ এ আমরা কলেজ রাজনীতি শুরু করলাম, তার কলেজ কমিটিতে জায়গা হলো না। ১৯৯৫ এর কমিটিতে আব্দুল কাদির সমছু সাধারণ সম্পাদক হলো, ১৯৯৭ এ আমি হলাম সভাপতি। ১৯৯৬/৯৭ এর জেলা কমিটিতে তার জায়গা হলো না। ২০০২ সালে আমি যখন মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক, নাচন তখন সমাজসেবা সম্পাদক পেলো। সারাটা জীবন ছাত্রদলে কাটিয়ে শেষ সময়ে এসে একমাত্র বলার মতো প্রাপ্তি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক। দীর্ঘ ছাত্ররাজনীতির সময়ে আমরা একসাথে মিছিল করেছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, গ্রুপিং রাজনীতিতে পক্ষে-বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কটা কখনো শেয হয়ে যায়নি। 
 

নাচন সিলেট মহানগর বিএনপি'র কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছে। সিলেকশনের কমিটি হলে নাচনের জায়গা হবে না, এটা বলাইবাহুল্য। আমাদের ভরসা তাই ইলেকশন। যেহেতু রাজনীতির সক্রিয় খবরাখবর সবসময় রাখা হয় না, ধরে নিচ্ছি যারাই প্রার্থী হয়েছেন, দলের জন্য প্রায় সবাইই নিবেদিত। আমরা যারা একসাথে রাজনীতি শুরু করেছিলাম, তার মধ্যে দিনার আর নাচনই শেষ পর্যন্ত দেশে  টিকে ছিলো। আজ দিনার গুম হয়ে আছে, আমরা দেশের বাইরে, আমাদের ব্যাচের একমাত্র নাচনই আছে। 
 

পরিচিত, সহযোদ্ধা, সিনিয়র-জুনিয়র, ভোটার সবার কাছে বিনীত অনুরোধ এবং আশা থাকবে, যারা এই পদে প্রার্থী হয়েছেন, যদি মনে করে থাকেন তাদের মধ্যে এই দীর্ঘ সময় ধরে একনিষ্ঠ ভাবে দলের ভালো-খারাপ সময়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রাজপথে টিকে থেকে, দলের-দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে রেজাউল করিম নাচন যোগ্যতর প্রার্থী, তাহলে নাচনের সমর্থনে থাকুন, ভোট দিন, ভোট দেওয়ান। 

যারাই এই কাউন্সিলে বিজয়ী-বিজিত হবেন সবার জন্য শুভকামনা রইলো।


লেখক: আলী ওয়াসীমুজ্জামান রনি (আমেরিকা প্রবাসী)