পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই সিলেটে যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। নগরীর ফুটপাতগুলো দখল হওয়া, ঈদের বাজারের চাপ আর বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে যানজট অসহনীয় রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
বুধবার দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, নাইওরপুল, জেল রোড, লামাবাজার, চৌহাট্টা, দরগা গেট, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাট, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, তালতলা, কিনব্রিজসহ প্রতিটি সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট। এসব রোডে যানজটের কারণে গলি পথগুলোও ছিল অনেকটা অবরুদ্ধ।
সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা চন্দন বলেন, ‘অন্য সময় জিন্দাবাজার থেকে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিটে আমি বাসায় পৌঁছাতে পারি। সেই জায়গায় এখন লাগে ১৫ মিনিট। এতো গরমে হাটাঁও যায় না, ইচ্ছা থাকলেও রিকশায় করে যেতে পারি না যানজটের ভয়ে।’
এদিকে নগরীর সবকটি ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। ফলে যানজটের সময় ফুটপাত দিয়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারছেন না সাধারণ মানুষ। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা সবখানেই ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান। পথচারীরা অভিযোগ করেন, এসব ফুটপাত দিয়ে হাঁটাও দুরুহ হয়ে পড়েছে।
পথচারী আরো কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, রমজান মাস শুরুর কয়েক দিন পর থেকেই নগরীতে মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। সামনে ঈদ তাই কেনাকাটা করতে জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষজন শহরে এসেছে, ভিড় বাড়ছে। যার কারনে অন্য সময়ের তুলনায় যানজটও বেড়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, দুইদিন পর ঈদ, তাই লোকজন কেনাকাটা করতে এসেছে যার কারনে যানজট কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঈদের আগে মানুষের চলাচল বেড়েছে ঠিকই, তবে সিলেটের বেশির ভাগ বিপণিবিতানে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা, ফুটপাত বেদখল এবং খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা ফেলে রাখার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ সময়টাতে রাস্তায় যানবাহন যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যেন যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে, তা কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/পল্লব/এসডি-৩০