সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “গতানুতিক শিক্ষাদান পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ। ফলে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করলেও অনেকে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। মূখস্তনির্ভর ও সিলেবাসভিত্তিক লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট করে দেয়।
পাশ্চাত্য ও উন্নতদেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মতো এতো পরিশ্রম করে না। আমাদের দেশের মতো তাদের সিলেবাসও এতো ব্যাপক নয়। অথচ বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবদান আমাদের চেয়ে বেশি। আমরা সবকিছু পড়তে গিয়ে কোনো কিছুই ভালোভাবে পড়ছি না। এ ধারা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলে ও জানার প্রসারতা বাড়ায়।”
শনিবার বিকেল নকিং কলাবরেটর্স ইয়ুথ ফাউন্ডেশন (কেসিওয়াইএফ) এর সিলেট ডিভিশনাল পাবলিক স্পিকিং ও কুইজ কম্পিটিশনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এম. হাবিবুর রহমান হলে কেসিওয়াইএফ এর চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান রুহিতের সভাপতিত্বে ও শফিউল আলম রুহিন এবং নিশাত জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কেসিওয়াইএফ এর যুগ্ম সম্পাদক মাহিনুর রহমান পামেল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়েস একাডেমির পরিচালক সজিবুল ইসলাম, তরঙ্গ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল আহমেদ।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের চার জেলা তথা সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ষষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন স্তর পেড়িয়ে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৫