সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পৃথক পৃথক দুটি স্থানে রহস্যজনক আগুন লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাত ৭ টায় উপজেলার জগদল ইউনিয়নের আটপুরিয়া গ্রামে ডা. কুশল চক্রবর্তীর বাড়িতে রহস্যজনক আগুন লাগে।
ডা. কুশল চক্রবর্তী বলেন, কে বা কারা রবিবার রাতে আমাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ঘরে থাকা ফার্নিচার, খড়সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে আমাদের ২ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি এটা কেউ পরিকল্পিত ভাবে লাগিয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ, সিগারেট বা অন্য কোন মাধ্যমে আগুন লাগার কথা নয়। এটা অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পিত। আমরা আতংকে আছি।
এব্যাপারে থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এর আগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের পুর্ব সুড়িয়ারপাড় গ্রামে রহস্যময় আগুনে দরিদ্র কৃষকের তিনটি গবাদিপশু ও খড়সহ ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে পুড়ে ১টি গরু মরণাপন্ন ও আরও ৭টি গরু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষক রিপন মিয়া দিরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
রিপন মিয়া বলেন, আমার বসত ঘরের পূর্ব দিকে বসতঘর থেকে ৬/৭ হাত দুরত্বে গোয়ালঘর ও খড় রাখার ঘরটির অবস্থান ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় আমার ১১টি গরু গোয়ালঘরে বেঁধে দরজা তালাবদ্ধ করে দেই। রাত ১১ টায় ঘুমাতে যাওয়ার আগেও দেখেছি ঘরটি ঠিকঠাক আছে৷ গভীর রাতে টাস-টুস শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙে। বের হয়ে দেখি গোয়ালঘর ও খড় রাখার ঘরটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একপাশের বেড়া ভেঙে আহত গরুগুলোর বাঁধন ছেড়ে দেই। এরআগেই ঘটনাস্থলে তিনটি গাভী গরু আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
আগুনে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে রিপন মিয়া বলেন, ঘরটিতে শুধুমাত্র খড় ও গরু ছিল। ওখানে আগুন লাগার মতো কোনকিছু ছিল না। দুষ্কৃতকারীরা আমার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘরটিতে আগুন দিয়েছে।
অন্যদিকে পৌর সদরের দোওজ এলাকায় রবিবার বিকেল ৫টায় স্থানীয় শাওন নাগ ও সুমন নাগের শতবছরের কাঠের তৈরী দোতলা টিনসেড ঘরটিতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শাওন নাগ জানান, রবিবার বেলা ৫টায় হঠাৎ রান্নাঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরটিতে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
দিরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মোছা ভুইয়া আগুন লাগার কারণ এলপিজি গ্যাসের চুলা থেকে বলে ধারণা করেন।
তবে শাওন নাগা জানান, এমনটা হলে গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকত না। তবে বিদ্যুৎ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। তবে এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত না।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, ঘটনা স্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছি।বিষটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লোল/এসডি-০৪