প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৩ ২২:০৮ (রবিবার)
বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি সিলেটে

বজ্রপাতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত‍্যু হচ্ছে বাংলাদেশে। পৃথিবীতে বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যান, তার এক-চতুর্থাংশই হচ্ছে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় সিলেট বিভাগে।
 

সর্বশেষ সিলেটর ওসমানীনগর ও হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বুধবার (৩ মে) বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগের হাওর, বাঁওড় ও বিল এলাকার বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে বজ্রপাতের ঘটনা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
 

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বছেরের মার্চ-এপ্রিল ও মে মাসে বজ্রপাত বেশি হয় হাওরাঞ্চলে—কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও নেত্রকোনা জেলায়। জুন, জুলাই, আগস্টে হয়ে থাকে সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও বরিশালে।
 

দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসকারি সংগঠন ‘ডিজাস্টার ফোরাম’র তথ‍্যমতে, প্রতিবছর গড়ে বজ্রপাতে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে মারা যাওয়া ৭০ শতাংশই কৃষক। ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১২ বছরে দেশে বজ্রপাতে মৃত‍্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনের। এপ্রিল ও জুনে বজ্রপাত বেশি হয়।
 

এর মধ্যে ২০১১ সালে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৬ সালে ২০৫ জন, ২০১৭ সালে ৩০১ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৬৮ জন, ২০২০ সালে ২৩৬ জন এবং ২০২১ সালে ৩৬২ জন মারা গেছে বজ্রাঘাতে।
 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বজ্রাঘাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের প্রায় ৭০ শতাংশই কৃষক, সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ি ফেরার পথে এবং গোসল কিংবা মাছ শিকারের সময় ১৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। তবে শহরের ভবনগুলোতে বজ্রপাত প্রতিরোধক দণ্ড থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম।
 

এদিকে বজ্রপাতের আগাম বার্তা পেতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ জেলায় বজ্রপাতের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যন্ত্রটি সাইরেন বাজিয়ে লাল হলুদ ও নীল রঙের মাধ্যমে বজ্রপাতের সতর্ক সংকেত দেয়। এর মাধ্যমে বজ্রপাত ও বজ্রঝড় কোন অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হবে, তা এক ঘণ্টা আগেই জানিয়ে দিতে পারে আবহাওয়া অফিস।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত/এসডি-৮৬