প্রকাশিত: ০৫ মে, ২০২৩ ১১:০৪ (শুক্রবার)
লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, যোগ দেবেন রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশের রাজা-রানি হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৪ মে রাত ১১: ৪৯টায় লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১১: ৩০টায় রওনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্ল্যাকবার্ন উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ নেতাদের একটি অনুষ্ঠান, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান ও একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান এবং মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক, বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক এবং একটি নাগরিক সংবর্ধনাসহ আরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাপানের টোকিওতে তাঁর চার দিনের সরকারি সফর শেষে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান।

এর আগে ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জাপান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করে।

জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়াদি, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর একই দিনে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিকের কাছে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তরের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ও একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।

টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির পাশাপাশি জাইকা, জেট্রো, জেবিক, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন। তিনি জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও দেখা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা ফিরবেন।