প্রকাশিত: ০৫ মে, ২০২৩ ১১:২৪ (শুক্রবার)
উল্লাসের কনসার্টে ইন্দালোর পরিবেশনায় উচ্ছ্বসিত ভক্তরা

সাইকাডেলিক রক! সঙ্গীতের একটি ধরন। যার সঙ্গে সাধারনের খুব একটা পরিচয় নেই। তাই অনেকেরই অজানা এর উৎপত্তি এশিয়াতে। ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীত থেকেই এসেছে এর ধারা। ষাট ও সত্তরের দশকে এই ধারাটি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। 

বাংলা একাডেমির মতে, ‘সাইকেডেলিক এমন সঙ্গীত যা কিনা মনের উপর অমূল প্রত্যক্ষ-উৎপাদক মাদকের মতো কাজ করে।’ সহজ কথায় যে সঙ্গীত মনের উপর ঘোর সৃষ্টিকারী মাদকের মতো কাজ করে, তাই সাইকেডেলিক সঙ্গীত।

পিংক ফ্লয়েড, মহীনের ঘোড়াগুলি কিংবা শিরোনামহীনের ভক্তরা এর সঙ্গে কিছুটা পরিচিত। তবে এদের বাইরেও আরও একটি বাংলা ব্যান্ড এই ঘরনার গান করে। তাদের 'ইন্দালো'। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তারা মাতিয়ে গেছে সিলেট।

ইন্দালো বললেই তার ভক্তদের মাথায় আসে 'নতুন খামে পুরনো চিঠি' অ্যালবামটির কথা। কাল  সন্ধ্যায় তাদের এই অ্যালবামের গানে ভক্তরা হারিয়ে গিয়েছিলেন যেন। গেয়েছেন তারা '১৯৯৬' গানটিও। ভক্তদের উন্মাদনায় তারাও যেন ভুলে গিয়েছিলেন গান সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কথা।
সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীক গড়ে উঠা গানের দল 'উল্লাস মিউজিক্যাল ক্লাব' আয়োজিত 'রেইনবো থ্রো দ্যা বায়োস্কোপ' কনসার্টে তারা গান পরিবেশন করেছে। তাদের গানের মূর্ছনায় হারিয়ে গিয়েছিলেন আগত শ্রোতারা। 

শুধু ইন্দালোই না, কাল নগরের রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মঞ্চ মাতিয়েছেন মাশা ইসলাম। তারা 'টেকা ও পাখি' গানে কণ্ঠ মিলিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন গান পাগলরা। 

সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হয় কনসার্টটি। শুরুতেই  'এমইউ উল্লাস' নামের থিম সং বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। তারপরই উল্লাস মিউজিক্যাল ক্লাবের পারফরমাররা গান পরিবেশন করেন। মোট ৮টি গান গেয়ে শোনান তারা। 

তাদের পরিবেশনা শেষে মঞ্চে উঠেন মাশা। তারপরই ইন্দালো। যার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলেন ভক্তরা। উল্লাসের কনসার্টে প্রিয় ব্যান্ডের পরিবেশনায় উচ্ছসিত ইন্দালো ভক্তরা।

সিলেটভিউ২৪.কম/প্রেবি/মাহি