প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২৩ ১৭:০০ (বৃহস্পতিবার)
দুই বাচ্চার মাকে বিয়ের কারণ জানালেন সালমান মুক্তাদির

ইউটিউবার থেকে তারকা হয়ে ওঠা সালমান মুক্তাদির সবসময় আলোচনায় থেকেছেন একাধিক প্রেম নিয়ে। প্লে-বয় তকমাটা তার নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল পাকাপাকিভাবে। যদিও এসব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাননি তিনি। বরং নিজের মতো করে জীবনটা উপভোগ করে গেছেন। কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে পাল্টা দু-চার কথা শুনিয়ে দিয়েছেন।
 

তবে এবার প্লে-বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে এসেছেন সালমান। থিতু হয়েছেন এক নারীতে। গেল ৩০ এপ্রিল বিয়ে করেছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন এই ইউটিউবার-অভিনেতা। স্ত্রী দিশাকে বিয়ে করতে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে দিশাকে এবার জানালেন সেই গল্প।


নিজের ফেসবুকে সালমান লেখেন, আমি সবসময় বিয়ে করতে চেয়েছি। যদি কোনো সম্পর্ক বিয়ের প্রতিশ্রুতির দিকে না যায়, তবে আমি কখনই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করতে পারি না।’
 

এরপর তিনি লেখেন,‘আমার এক প্রাক্তন আমাকে অপেক্ষায় রাখে। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করেনি। অন্যজন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ আমার চেয়েও আরো ভালো কাউকে তুমি পাবে বলে সম্পর্কচ্ছেদ করে। আরেকজন বলেছিল, ‘বিয়ের জন্য সে প্রস্তুত নয়। অবশেষে আমি এটা শিখেছি যে, ততক্ষণ সবাই আপনাকে বিয়ে করতে চায়, যতক্ষণ আপনার সঙ্গে আলাপচারিতা চলে। সত্যি আপনাকে কেউ বিয়ে করে না। কেউ আপনাকে যথেষ্ট ভালোবাসে না।’
 

সালমান আরও  লেখেন,‘এরপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। শুরুতে আমরা বন্ধু ছিলাম। তারপর থেকে সে কখনো আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেনি, অসম্মান করেনি। সবসময় মানুষের সামনে আমাকে সম্মানিত করেছে, যেখানে অন্যরা আমাকে টেনে নিচে নামিয়েছে। অন্য মেয়েরা আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে। কিন্তু আমার স্ত্রী কখনও আমার সঙ্গে ছবি তোলেনি। বরং আমার সঙ্গে কথা বলেছে, তার জীবনের গল্প বলেছে। সর্বশেষ আমরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি। কিন্তু সিনেমার মতো প্রত্যেকে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। ৭ মাস আমার স্ত্রী সংগ্রাম করেছে, ভয়ংকর খারাপ সময় পার করেছে। সপ্তাহ, মাস সে আমাকে একটি মেসেজ কিংবা কল করতে পারেনি। মাসের পর মাস আমি তাকে দেখতে পাইনি। আমি ভেবেছিলাম আমার জীবনে আরেকটি ব্যর্থ প্রেম যুক্ত হতে যাচ্ছে।’
 

সবশেষে দিশাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রসঙ্গে সালমান লিখেছেন,‘দীর্ঘ ৭ মাস পর আমার স্ত্রীর বেস্ট ফ্রেন্ড ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে- সবকিছু ছেড়ে সে (দিশা) যদি বাচ্চাদের নিয়ে তোমার দরজায় হাজির হয়, তুমি কি তাকে গ্রহণ করবে? নাকি তোমার জন্য বোঝা হয়ে যাবে? এ কথা শুনে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। এমন বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময় নিয়েছিলাম।’
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি