প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০২৩ ১৬:০১ (বুধবার)
সিলেটে আন্দোলনে যাচ্ছেন কেবল ব্যবসায়ীরা

সিলেট কেবল ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন ‘সিলেট কেবল টিভি ফিড অপারেটর সমিতি’র উদ্যোগে সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ‘ফিড বিল কমাও- ব্যবসা বাঁচাও’ দাবিতে শহরতলির রেইন এন্ড শাইন রেস্টুরেন্টে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ ও পরিচালনা করেন বালাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামস উদ্দিন শামস উদ্দিন। সভায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে কেবল ব্যবসায়ীগণ যোগদান করেন।

সিলেটের কেবল ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার পর থেকে সিলেটের কেবল ব্যবসায়ীদের গ্রাহকসংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। বর্তমানে গ্রাহকসংখ্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের পক্ষে ব্যবসায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, ফিড বিল বর্তমানে যে হারে গ্রহণ করা হচ্ছে, তা প্রদান করা তাদের পক্ষে কোনমতেই সম্ভব নয়। এঅবস্থা চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। শেখ সামাদ আহমদ বলেন-আমাদের ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে আমাদের বিপুল সংখ্যক কর্মচারী চাকরি হারিয়ে পথে বসতে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমরা আমাদের সিগন্যাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট কেবল সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটের-এর নিকট সমিতি থেকে ন্যায্যহারে ফিডবিল কমানোর একটি লিখিত আবেদন করেছিলাম। এসসিএস আমাদের এই আবেদনপত্রের কোন জবাব দেয়নি বরং আমাদের সমিতির বিভিন্ন এলাকার সংযোগ বন্ধ করে এবং সমিতির সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে। 

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে সমিতির পক্ষ থেকে আবারও এসসিএস বরাবর ফিডবিল কমানোর আহ্বান জানিয়ে চিঠি প্রদান করা হবে। তাতে সিলেট কেবল সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড ফিডবিল না কমালে সমিতির ব্যানারে সিলেটের কেবল ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ বলেন- তারা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেবল ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করবেন। তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

তিনি জানান- সমস্ত কেবল ব্যবসায়ী এসসিএস-এর ফিডবিল প্রদানে বিরত থাকবেন। তবে ফিডবিল সংশোধন করে হ্রাসকৃত হারে প্রদান করলে তারা বিল প্রদান করবেন। এতে কারো সংযোগ বিছিন্ন করা হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন আলী, শেখ সামাদ আহমদ, খায়রুল ইসলাম খায়ের, মো. বিপু আহমদ, আবুল হাসান রুহিন, রাসেল আহমদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন,  শেখ ফখরুল ইসলাম, বদরুল আলম, মুরাদ আহমদ, মাহমুদুল ইসলাম, শহীদুল হক, শামীম আহমদ, মনিহার সিংহ, শাহ জাকের আহমদ, মো. আব্দুল হালিম চৌধুরী, মকসুদুল করিম নুহেল, সাইফুর রহমান খালেদ, জুয়েল আহমদ, আলী আহমেদ রাজু ও সৈয়দ সেলিম প্রমুখ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / স.বি / ডি.আর